কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
সুপার সাইক্লোনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট ৪লক্ষ ৩৩০৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপরই সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কৃষিক্ষেত্রে। কৃষিতে ১২০০কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি দেখানো হয়েছে। আর নিম্নচাপে বোরোয় ৫৪৫কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। ২৮মে জেলাশাসক পার্থ ঘোষ জেলা কৃষিদপ্তরের সুপারিশ অনুযায়ী ৩১৯৯টি মৌজার মধ্যে ৩১০০মৌজাকে ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে গেজেট নোটিফিকেশন করেন। জেলায় ২৫টি ব্লকে ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পাঁচটি পুরসভা এলাকার কৃষিভিত্তিক ৩১০০টি মৌজা সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ঘোষণা হওয়ায় চাষিরা সরকারি ক্ষতিপূরণ এবং বিমার সুবিধা পাবেন।
সরকারি ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রথম পর্যায়ে স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফান্ড(এসডিআরএফ) থেকে ২০কোটি টাকা পূর্ব মেদিনীপুর জেলাকে দেওয়া হয়েছে। যদিও সমস্ত চাষির কাছে ক্ষতিপূরণ পৌঁছে দিতে আরও অনেক টাকা প্রয়োজন। জেলায় ৮০হাজার পানচাষি ক্ষতিগ্রস্ত বলে কৃষিদপ্তর রিপোর্ট দিয়েছে। ৮০হাজার পানচাষিকে মাথাপিছু পাঁচ হাজার টাকা দিতে গেলে প্রয়োজন ৪০কোটি টাকার। প্রথম ধাপে এজন্য এসেছে ১০কোটি টাকা। শুক্রবার বিকেল ৪টায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উম-পুন বিধ্বস্ত বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স চলাকালীন তমলুকে জেলাশাসকের অফিসে ১০জন ক্ষতিগ্রস্ত পানচাষিকে মাথাপিছু ৫০০০ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। অন্যান্য আরও পাঁচ চাষিকে এক হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়েছে।
জেলায় কৃষকবন্ধু পোর্টালে নথিভুক্ত চাষির সংখ্যা ৭লক্ষ ৩৫হাজার। নথিভুক্ত চাষিদের জমির পরিমাণ অনুযায়ী এক হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা দেওয়া হবে। গড়ে চাষিপিছু দেড় হাজার টাকা ধরলে প্রয়োজন ১১০কোটি টাকার। আপাতত প্রথম পর্যায়ে পাওয়া গিয়েছে ১০কোটি টাকা।
জেলা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত কোনও ফর্ম বিতরণ করা হচ্ছে না। কৃষকবন্ধু প্রকল্পের পোর্টাল দেখেই চাষিদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হবে। তবে, প্রাথমিক পর্বে পাওয়া ১০কোটি টাকা অ্যাকাউন্টে দেওয়া নিয়ে সমস্যা হতে পারে বলে জেলা কৃষিদপ্তরের অফিসারদের আশঙ্কা। কারণ, ওই টাকা মাত্র আট শতাংশ চাষিকে দেওয়া যাবে। এই মুহূর্তে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার চাষিদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার নির্দেশ এসেছে। কিন্তু, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি এবং হলদিয়া মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত। তাই ৭লক্ষ ৩৫হাজার চাষির মধ্যে আট শতাংশ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চাষি খুঁজে বের করা কঠিন কাজ।
উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ক্ষতিপূরণের জন্য ১০০কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জন্য ২০হাজার টাকা পাওয়া যাবে। এর বাইরে কৃষিক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতির জন্য দিয়েছে ২০কোটি টাকা। কৃষিদপ্তরের জেলা উপ অধিকর্তা(প্রশাসন) আশিসকুমার বেরা বলেন, পানচাষে মোট প্রয়োজন ৪০কোটি টাকা। আর বাদাম, তিল এবং সব্জি সহ অন্যান্য চাষে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রয়োজন ১১০কোটি টাকা। আপাতত ২০কোটি টাকা এসেছে।