ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতে সকলেই একসঙ্গে থাকার ফলে বিভিন্ন কারণে দাম্পত্য কলহ বাড়ছে। ছোট ছোট বিভিন্ন কারণে অশান্তি বেধে যাচ্ছে। বেলডাঙা শহরে শনিবার রাতে এক গৃহবধূর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। মৃতার বাপের বাড়ির লোকজনের দাবি, তাঁকে আগুন ধরিয়ে খুন করা হয়েছে। বহরমপুর মহকুমার এক পুলিস আধিকারিক বলেন, এমন সব অভিযোগ আসছে তা শুনে এই গম্ভীর পরিবেশেও হাসি আসছে। আবার রাগও হচ্ছে। কখনও ফোন করে কেউ বলছে, স্যার ডিমের দাম এক টাকা বেশি নিচ্ছে। আপনি কিছু করুন। আবার কখনও কোনও গৃহবধূ ফোন করে মোবাইল এবং টিভি চ্যানেল দেখা নিয়ে অভিযোগ করছেন। এই ধরনের অভিযোগ আগেও আসত। এখন সেই প্রবণতা আরও বেড়ে গিয়েছে। তবে এটা ঠিক, লকডাউনের জেলায় সংগঠিত অপরাধের গ্রাফ নীচে নেমে গিয়েছে। ফরাক্কায় কয়েকদিন আগে এক যুবক খুন হওয়া ছাড়া বড় ধরনের ঘটনা এই কয়েক দিনে হয়নি। চুরি, ছিনতাইয়ের কেস জেলায় হয়নি। মুর্শিদাবাদের মহিলা সুরক্ষিত সেলের আধিকারিক তন্ময় শাসমল বলেন, অতীতেও আমরা দেখেছি, ছোট ছোট কারণে দাম্পত্য জীবন ভেঙে যেতে। স্রেফ সন্দেহবশত অনেক পরিবার ভেঙে গিয়েছে। আমরা বুঝিয়ে অনেককেই আবার সংসার জীবনে ফিরিয়েছি। তবে সম্প্রতি আমাদের কাছে তেমন অভিযোগ জমা পড়েনি। লকডাউন চলছে বলে হয়তো অফিসে এসে অনেকে অভিযোগ জমা করতে পারছে না।
জেলা পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ছোটখাট বিষয়ে অভিযোগ এলে তা দু’পক্ষকে বুঝিয়ে মিটিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে গেলে কেস করা হয়। একবার কেস হয়ে গেলে সেই দাম্পত্য জীবন স্বাভাবিক হওয়া মুশকিল। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, কয়েক দিন আগে এক মহিলা এসে অভিযোগ করেন, তাঁর কোনও কাজই নাকি স্বামীর পছন্দ হয় না। তিনি টিভিতে কোনও চ্যানেল দেখলে সেটাও তার পছন্দ হয় না। এনিয়ে আগেও অশান্তি হতো। এখন স্বামী সবসময় বাড়িতে থাকার ফলে সমস্যা আরও বেড়েছে। চিকিৎসকরা মনে করছেন, ঘরের মধ্যে থাকলে শুধু বড়দের বিরক্তি আসে না। ছোটদের ক্ষেত্রেও একই রকম সমস্যা দেখা যায়। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক প্রীতম সাহা বলেন, ছোটদের বিরক্তি কাটানোর জন্য তাদের সঙ্গে খেলা করতে হবে। প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরণের গল্প শোনাতে হবে। তাদেরকে বিভিন্ন ছোট ছোট কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে।
তবে ছোটদের সমস্যা সমাধানের জন্য চিকিৎসকরা টোটকা দিলেও সুস্থ দাম্পত্য জীবনের জন্য এই সময় কী করতে হবে তা অনেকেই ভেবে পাচ্ছেন না। দুপুর-সন্ধ্যায় অনেক বাড়িতেই শুরু হচ্ছে ‘যুদ্ধ’। তা থামাতেও ভরসা সেই পুলিসই।