ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
এদিকে, স্যানিটাইজেশনের পর বন্দরে শ্রমিকদের জন্য করোনা সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে এদিন জেনারেল কার্গো বার্থ, ১২ও ১৩ নম্বর বার্থ ঘুরে দেখেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ এবং হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান তথা শ্রমিক নেতা শ্যামলকুমার আদক। তাঁরা বন্দরের দুই জেনারেল ম্যানেজার অমল দত্ত(প্রশাসন) এবং অভয়কুমার মহাপাত্রের(ট্রাফিক) সঙ্গে কথা বলেন এবং শ্রমিকদের মতামতও নেন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ১৩নম্বর বার্থের এক কর্মীর করোনা ধরা পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বন্দরের কাজ ছেড়ে চলে যান কয়েকশো স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিক। এই ঘটনায় বন্দরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকদের বন্দরে কাজে আসতে বাধা দেওয়া হয়। ফলে ১৩নম্বর সহ বন্দরের একাধিক বার্থে কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার(ট্রাফিক) বলেন, শনি ও রবিবার দু’দিন ধরে ১২ ও ১৩নম্বর বার্থ সহ বন্দরের বিভিন্ন বার্থে স্যানিটাইজেশন করা হয়েছে। সুরক্ষার আশ্বাস দিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ শ্রমিক সংগঠনগুলির মাধ্যমে শ্রমিকদের কাছে কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়। শ্রমিকরা আশ্বস্ত হয়ে বিকেল সাড়ে ৩টে থেকে কাজ শুরু করেছেন। ১১নম্বর বার্থে কন্টেনার হ্যান্ডেলিং ও অয়েল জেটিগুলিতে কাজ শুরু হয়েছে। বন্দরের ভিতরে ডক এরিয়া ও বাইরে রিভারাইন অয়েল জেটিমিলিয়ে মোট ১১টি জাহাজ দাঁড়িয়ে রয়েছে। মর্নিং সিফ্ট থেকে পুরোদমে লোডিং আনলোডিংয়ের কাজ শুরু হবে।
শ্যামলবাবু বলেন, শ্রমিকরা আপাতত মর্নিং ও ডে দু’টি সিফ্টে কাজ করবেন। জরুরি প্রয়োজন হলে নাইট সিফ্টে কাজ হবে। করোনা নিয়ে বন্দরের শ্রমিকদের যেহেতু এলাকায় চাপের মধ্যে পড়তে হচ্ছে, সেজন্য স্থানীয় কাউন্সিলার বা পঞ্চায়েতকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। কারণ, বন্দরের কাজকর্ম জরুরি পরিষেবার মধ্যে পড়ে। সুরক্ষা ও সচেতনতার মাধ্যমে শ্রমিকদের পাশাপাশি মানুষের মধ্যে ভয় কাটানোর উদ্যোগ নিচ্ছে প্রশাসন। বন্দরে স্যানিটাইজেশনে পুরসভা সমস্ত রকম সাহায্য করছে।