পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন পাঠনে পরিশ্রমী হলে ... বিশদ
বিএসএফের ডিআইজি কুণাল মজুমদার বলেন, পাচার রুখতে আমরা আগেই সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে গর্ত খুঁড়েছি। কেউ যাতে কোনওভাবেই এরাজ্যে ঢুকতে না পারে তারজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে। সীমান্তের গ্রামগুলিতে করোনা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কাজও করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাদের মতে, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারেনি। সেদেশে লকডাউনও ঠিকমতো মানা হচ্ছে না। পর্যাপ্ত কিট না থাকায় পরীক্ষাও ঠিকমতো করা হচ্ছে না। বাংলাদেশের বহু লোক বিদেশে থাকেন। তাঁদের অনেকেই এই সময়ের মধ্যে ঘরে ফিরেছেন। তাই সেদেশে করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। শনিবার সকাল পর্যন্ত সেদেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সেদেশে করোনা দাপট বাড়ালে অনেকেই সীমান্ত পেরিয়ে এরাজ্যে আসার চেষ্টা করতে পারে। সেকারণে আগেই স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা সতর্ক করেছিলেন।
কয়েক দিন আগে জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মীনা এবং মুর্শিদাবাদের পুলিস সুপার অজিত সিং যাদব ও জঙ্গিপুরের পুলিস সুপার ওয়াই রঘুবংশী সীমান্তবর্তী থানার ওসিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন। সীমান্তের প্রতিটি থানার ওসিদের বিএসএফের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিস সুপার অজিত সিং যাদব বলেন, পুলিস সীমান্তের গ্রামগুলির বাসিন্দাদের সচেতন করছে। বাইরে থেকে কেউ এলে পুলিস বা স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এরাজ্যের জলঙ্গি, রানিনগর, ধুলিয়ান সহ বহু এলাকায় বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার নেই। সেদেশের লোকজন খুব সহজেই এরাজ্যে ঢুকতে পারে। বিএসএফ থাকলেও তারা নজর এড়িয়ে সীমান্ত পার হয়ে যায়। কিন্তু, করোনার ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পরেই সীমান্তে পাহারা বাড়ানো হয়েছে। পাচারও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যেসব এলাকাগুলি পাচার ‘জোন’ হিসেবে পরিচিত সেখানেও সব সময় বিএসএফ টহল দিচ্ছে।