উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
শুক্রবার পুরুলিয়ার সার্কিট হাউসে বৈঠক ডাকে জেলা প্রশাসন। ওই বৈঠকে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলাশাসক রাহুল মজুমদার সহ প্রতিটি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, বিডিও, এসডিও, অতিরিক্ত জেলাশাসক, বিভিন্ন দপ্তরের জেলা আধিকারিক এবং জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন। বিরোধীদের দখলে থাকা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদেরও এই প্রথম জেলা প্রশাসনের বৈঠকে ডাকা হয় বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
সভাধিপতি বলেন, পুরুলিয়া জেলার উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনার জন্য পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, বিডিও, এসডিও এবং বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কোথাও কোনও সমস্যা থাকলে তাও জানা হয়েছে। এবারই বিরোধী দলের দখলে থাকা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং পুরুলিয়া জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতাকেও ডাকা হয়েছিল। তবে জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা এদিন উপস্থিত ছিলেন না। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা এসেছিলেন। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই জেলার উন্নয়নের কাজ করতে চাইছি। এদিনের বৈঠকে বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। জেলার উন্নয়নের কাজে আগামী দিনেও বিরোধীদেরও সাহায্য নেওয়া হবে।
এবিষয়ে রঘুনাথপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা বিজেপি নেতা রবিন ঘোষ(গোপ) বলেন, এবারই প্রথম চিঠি দিয়ে ডাকা হল। নতুন কোনও প্রকল্পের বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। পুরনো প্রকল্পের বিষয়ে কথা হয়েছে। গত দেড় বছরে তো বিরোধীদের দখলে থাকা পঞ্চায়েত সমিতিগুলিতে কোনও ‘ফান্ড’ দেওয়া হয়নি। এদিনের বৈঠকের পর যদি উন্নয়নের কাজের জন্য ফান্ড অনুমোদন করা হয় তাহলে ভালো।
এবিষয়ে বরাবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কংগ্রেসের রামজীবন মাহাত বলেন, বৈঠকে ডাকার উদ্যোগকে অবশ্যই সাধুবাদ জানাতে হবে। এদিনের বৈঠকে গঠনমূলক কিছু পরিকল্পনার বিষয়ে বলার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু, কথা বলার সুযোগই দেওয়া হয়নি। তাই বৈঠকের পর লিখিত আকারেই জেলাশাসককে জানিয়েছি।