নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর রাতে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র হস্টেলে উইমেন্স স্টাডিজের এক ছাত্র’র উপর র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। ওই আক্রান্ত ছাত্রের অভিযোগ ছিল, ওইদিন রাতে হস্টেলে তাঁর উপর র্যাগিং শুরু করে কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্র। রাত সাড়ে ১২টার সময় তাঁকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে হস্টেল থেকে বের করে দেওয়া হয়। ভোর পর্যন্ত তিনি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ান। পরদিন সকাল থেকে অর্থাৎ ২৬ অক্টোবর তিনি বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
এদিকে, থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই ব্যাপক শোরগোল ছড়ায়। পুজোর ছুটির পর গত ৩১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় খুলতেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একদল ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থও হয়েছিলেন। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির আহ্বায়ক তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লেসমেন্ট অ্যান্ড স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অফিসারের কাছে দাবিপত্রও জমা দিয়েছিলেন। তারপরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াডকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই অনুযায়ী তদন্ত শুরু হয়। এদিকে, বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অভিযোগকারী ছাত্রের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছিলেন রবীন্দ্র হস্টেলের একদল ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড সরজমিনে র্যাগিংয়ের অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে। একাধিক ছাত্রের বয়ান লিপিবদ্ধ করে। হস্টেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নেওয়া হয়। কিন্তু, কোথাও র্যাগিংয়ের কোনও তথ্য মেলেনি। তদন্তে উঠে এসেছে, ওইদিন কোনও র্যাগিংয়ের ঘটনাই ঘটেনি। সেই পুরো বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এদিন বন্ধ খামে জানিয়ে দিয়েছে অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড।
এদিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য নিমাই চন্দ্র সাহার উপস্থিতিতে তাঁর অফিসে বৈঠক করে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি। সেখানেই তদন্তের ওই রিপোর্ট খোলা হয়। তারপরই র্যাগিং কাণ্ডের কিনারা হয়। এদিকে, অনেকেই বলছেন, মিথ্যা অভিযোগের জন্য প্রথমবর্ষের ছাত্রদের অভিভাবকেরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। এই তদন্ত রিপোর্টে তাঁদেরও সেই আতঙ্ক কাটবে।