নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
২০০৩ সালের ৩০ এপ্রিল পঞ্চায়েত নির্বাচনে চোপড়ার লালবাজারে দিনেদুপুরে সিটুর শ্রমিক নেতা আকবর আলি এবং তিন জন খুন হন। তারপর থেকে প্রতি নির্বাচনে ঝামেলা পিছু ছাড়েনি চোপড়ার। কংগ্রেস–সিপিএমের ঝামেলায় অকালে প্রাণ চলে যায় তাদের। সেই কংগ্রেসই এখন সিপিএমের ঘরসঙ্গী। যা নিয়ে ভিতর ভিতর যে ক্ষোভ নেই তা নয়। প্রতি বছর সেই নিহতদের স্মরণে সভা করে সিটু। সেই মতো এদিনও লালবাজারে আকবর আলি, বিজয় রায়, জরিফুল ইসলাম, খলিলুর রহমানের স্মরণে একজোট হন সংগঠনের জেলা নেতারা। হাজির ছিলেন মৃতের পরিবারের সদস্যরাও। স্বজন হারার দুঃখ তাদের এখনও ঘোচেনি। মৃত বাম কর্মী জরিফুলের স্ত্রী জাহানারা খাতুন বলেন, ভোট আসলেই ভয় হয়। মনে হয় আবারও এলাকায় হিংসা হবে, কোনও মায়ের কোল খালি হয়ে যাবে। সকলের স্বার্থে চোপড়া থেকে রাজনৈতিক হানাহানি বন্ধ হওয়া উচিত।
সিটুর জেলা সম্পাদক স্বপন গুহনিয়োগী বলেন, চোপড়া ব্লকজুড়ে চা শিল্প গড়ে তোলার মূল কারিগর ছিলেন আকবর। চা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার তাগিদে প্রত্যেক বছর ৩০ এপ্রিল এই স্মরণ সভা করি। ওদের অসমাপ্ত কাজ এবং উদ্দেশ্য পূরণে এগিয়ে আসতে হবে শ্রমিকদের। সভায় এদিন উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান নেতা মনোরঞ্জন দাস, রাজ্য মহিলা নেত্রী সুপ্রীতি ঘোষ মজুমদার, সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক বিদ্যুৎ তরফদার, শ্রমিক নেতা দবিরুল ইসলাম।