সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
উত্তরবঙ্গ তো বটেই রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা বিহীন এলাকাগুলির মধ্যে শিলিগুড়ি অন্যতম। গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে এখানে রাজনৈতিক হিংসার কোনও ঘটনা হয়নি। এমনকী গত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোটে শিলিগুড়ি মহকুমা ছিল শান্ত। শিলিগুড়ি শহর, মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি ও ফাঁসিদেওয়া কোথাও হুমকি দেওয়া, বচসা কিংবা মারধরের অভিযোগ ওঠেনি। এখানকার এমন রাজনৈতিক বাতাবরণ সর্বত্র প্রশংসনীয়।
কিন্তু এবার ভোট মিটতেই বিজেপির একসময়ের গর মাটিগাড়ায় অশান্তি দানা বেঁধেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের দিন বুথ চত্বরে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়ার প্রতিবাদ করায় সোমবার রাতে মাটিগাড়া থানার তুলসীনগর খোলাইভক্তরিতে দুই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। পাল্টা বিজেপির কয়েকজনের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। দু’টি ঘটনায় দু’পক্ষের কয়েকজন জখম হন। সংশ্লিষ্ট দু’টি ঘটনা পর্যালোচনা করে বিজেপির বিরুদ্ধে কামান দেগেছে তৃণমূল।
সোমবার তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভানেত্রী (সমতল) পাপিয়া ঘোষ বলেন, মাটিগাড়া সহ গোটা শিলিগুড়ি শান্তপ্রিয় এলাকা। কোচবিহারের দিনহাটা এবং দক্ষিণবঙ্গের কিছু এলাকার মতো শিলিগুড়িকেউ অশান্ত করার ছক কষেছে বিজেপি। মাটিগাড়ায় যে ঘটনাগুলি ঘটেছে, সেগুলি অরাজনৈতিক। পদ্ম শিবির সেগুলিতে রাজনীতির রং লাগিয়ে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে চাইছে। কারণ এবার ভোটে সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে সাফ হবে বিজেপি। তাই ওরা অরাজনৈতিক ঘটনা নিয়ে বড়ধরনের গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে দলের নেতা-কর্মী সমর্থকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছি। যাতে কেউ পদ্ম বাহিনীর প্ররোচনায় পা না দেন।
পদ্ম শিবির অবশ্য তৃণমূলের অভিযোগ মানতে নারাজ। মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিজেপির আনন্দময় বর্মন বলেন, তৃণমূলের গ্রহণযোগ্যতা কমেছে। শিক্ষা ও রেশন ব্যবস্থা নিয়ে অনিয়ম, সন্দেশখালি কাণ্ডের পর ওদের প্রতি কারও আস্থা নেই। তাই মাটিগাড়ায় যাঁরা বিজেপিক ভোট দিয়েছেন, বেছেবেছে তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। ওরা এলাকায় সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করতে চাইছে। নিজেদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে ওরা বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।