সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
জানুয়ারি মাসে আনন্দনগরপাড়ার রাজু দুই যুবকের সঙ্গে কাজের জন্য যোগাযোগ করে। সেই দুই যুবকের সঙ্গেই কেরলে কাজের জন্য রওনা হন। কেরল যাওয়ার সময় ভুবনেশ্বর থেকে পারুলদেবীর কাছে ফোন আসে রাজুকে ট্রেনে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর অস্থির হয়ে পড়েন রাজুর মা। রাজুর দিদি চম্পা সরকার বিবাহসূত্রে ধূপগুড়ি থাকেন। তিনিও খোঁজখবর শুরু করেন ভাইয়ের। পারুল বাড়ইয়ের এক ভাগ্নে গ্যাংটকে কাজ করেন। তিনিও খোঁজখবর শুরু করেন। কিন্তু তিনমাস হয়ে গেলেও রাজুর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
রাজু ও তাঁর মা একসঙ্গে থাকতেন। রাজুর এক দাদা বছর খানেক আগে অসুস্থতার কারণে মারা যান। আরএক দাদা আলাদা বাড়িতে থাকেন। এদিকে ছেলের খোঁজ না পেয়ে ভেঙে পড়েছেন বৃদ্ধা। ধূপগুড়ি থেকে মেয়ে ও গ্যাংটকে থাকা ভাগ্নে অর্থকড়ি পাঠিয়ে কিছুটা সাহায্য করছেন।
সোমবার পারুল বাড়ই বলেন, এক ছেলে অন্যত্র থাকে। রাজুর সঙ্গে আমি থাকতাম। ও নির্দিষ্টভাবে কোনও কাজ করত না। যা উপর্জন করত তা দিয়ে ছেলে ও আমার চলে যাচ্ছিল। ও বলেছিল বাইরে কাজ করতে যাবে। ওকে বাধা দিইনি। জানুয়ারি মাসে কাজের উদ্দেশে বের হলেও ছেলের খোঁজ পাচ্ছি না। ছেলের কাছে মোবাইল নেই। কোনভাবেই কোথাও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। যারা ছেলেকে কাজের জন্য নিয়ে গিয়েছিল তাদের কাছ থেকেও কোন কিছু জানতে পারছি না। শুধুমাত্র জানতে পেরেছি ভুবনেশ্বর স্টেশন থেকে রাজুকে আর পাওয়া যায়নি। প্রশাসন ছেলেকে খুঁজে দিক সেই আর্জি রেখেছি। থানায় এদিন মিসিং ডায়েরি করি। ময়নাগুড়ি থানার পুলিস জানিয়েছে, ওই বৃদ্ধার ডায়েরি নেওয়া হয়েছে। ছেলেটির খোঁজ
করা হবে।