উচ্চতর বিদ্যায় শুভ। যে কোনও কর্মে উপার্জন বাড়বে। ব্যবসার গতি ও আয় বাড়বে। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দু’য়েক আগে ময়নাগুড়ি ব্লকের পানবাড়ি গ্রামের শেফালি সরকারের কাছ থেকে তাঁর মেয়েকে রেলে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে সাড়ে পাঁচলক্ষ টাকা নিয়েছিল নির্মলবাবুর ছেলে ও পুত্রবধূ। এজন্য ভুয়ো জয়েনিং লেটারও ইস্যু করা হয়েছিল। প্রতারিত হয়ে শেফালি সরকার থানায় অভিযোগ জানান। গত সপ্তাহে পুত্রবধূ শেফালি বিশ্বাসকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। ধৃতের দু’দিন পুলিস হেফাজত হয়। ধৃতকে জেরা করা হলে সে স্বামী প্রদীপ চৌধুরীর কথা জানায়। এরপরেই পুলিস প্রদীপকে গ্রেপ্তার করে।
পানবাড়িতে শেফালি সরকারের প্রসাধন সামগ্রীর দোকান আছে। ওই দোকানে আসত শেফালি বিশ্বাস। সেই সূত্র ধরেই দু’জনের পরিচয় হয়। শেফালি সরকারের মেয়েকে রেলে চাকরি করিয়ে দেওয়া টোপ দেয়শেফালি বিশ্বাস। এজন্য সাড়ে পাঁচলক্ষ টাকা দাবি করে। শেফালি সরকার বলেন, মেয়ের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে টাকা দিয়েছিলাম। শেফালি বিশ্বাস মেয়েকে একটি জয়েনিং লেটারও দিয়েছিল। মেয়ে ওটা নিয়ে শিলিগুড়িতে রেলের অফিসে গেলে লেটারটি ভুয়ো বলে ফিরিয়ে দেয়। দীর্ঘদিন ময়নাগুড়িতে ছিল না ওই দম্পতি। গত সপ্তাহে ওদের দেখা যায়। ময়নাগুড়ি থানায় জানালে পুলিস শেফালি বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার রাতে ওর স্বামী ধরা পড়েছে। ওই দম্পতি অনেকের কাছ থেকেই টাকা নিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। ধৃতদের শাস্তি চাই। এদিকে ঘটনার পর নির্মল চৌধুরীকে ফোন করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে জানান। পরবর্তীতে ফের ফোন করে প্রদীপ চৌধুরীর ব্যাপারে জানাতে চাওয়া হলে ফোন স্যুইচঅফ করে দেন। পরে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ফোন স্যুইচ অফই পাওয় যায়।
সিপিএম নেতা জ্যোতিপ্রকাশ ঘোষ বলেন, নির্মল চৌধুরী অত্যন্ত সৎ মানুষ। তিনি সিপিএমের কৃষক সভার পরিষদীয় সদস্য ছিলেন। ওঁর ছেলে কোনওদিন আমাদের দল করেনি।
ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমল দাস বলেন, টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে শেফালি বিশ্বাস ও তার স্বামী প্রদীপ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। সমগ্র ঘটনার তদন্ত চলছে।