কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
এবছর লক্ষ্মীপুজোর তিথি দু’দিন পড়ায় যথেষ্ট পরিমাণ পসরা সাজিয়ে বুধবার সকালে বসেছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু আকাশের অবস্থা দেখে প্রমাদ গোণেন তাঁরা। সকাল থেকেই শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি। তার সঙ্গে প্রবল বজ্রপাত।
পসরা ফেলে রেখেই কোনওমতে ইতিউতি মাথা ঢাকার জন্য আশ্রয় নেন অস্থায়ী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তাঁরা ভেবেছিলেন দিন আরও একটু বাড়লে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। কিন্তু হয় তার উল্টোটাই। ক্রমশ বাড়তে থাকে বৃষ্টি ও হাওয়ার দাপট। পাল্লা দিয়ে চলতে থাকে মেঘের গর্জন। পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা নেই বুঝে পসরা গোটাতে শুরু করে দেন ব্যবসায়ীরা।বুলবুলচণ্ডী থেকে লক্ষ্মী প্রতিমা নিয়ে এদিন সকালেও মালদহ শহরে এসেছিলেন অসিত মণ্ডল। কিন্তু হাতেগোনা দু’একটি ছাড়া প্রতিমা বিক্রি হয়নি। তারওপরে বৃষ্টির হাত থেকে প্রতিমাকে রক্ষা করতে হিমশিম খেতে হয় তাঁকে। বেজার মুখে তিনি বলেন, এবার দু’দিন পুজোর সুযোগ থাকায় বুধবার সকালেও প্রতিমা নিয়ে বসেছিলাম।
অনেকেই তাড়াহুড়োয় শেষ মুহূর্তে এসে বাজার করেন। আশা ছিল বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে পারব। কিন্তু প্রকৃতির খামখেয়ালির মূল্য চোকাতে হল। লাভ হওয়া তো দূরের কথা উল্টে প্রায় হাজার দশেক টাকা লোকসান হয়ে গেল।ফল বিক্রেতা রাজু চৌধুরীর গলাতেও হতাশার সুর। খুব ভোরে উঠে ফল বাজার থেকে পাইকারি দরে ফল কিনে বসেছিলেন বিক্রি করে মুনাফার আশায়। কিন্তু মুনাফা তো হয়ইনি বরং অতিরিক্ত বৃষ্টিতে কিছু ফল নষ্টও হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, আবহাওয়া যে এত খারাপ হবে তা ধারণা করতে পারিনি।ইংলিশবাজার শহরের বাজারে গিয়েও পুজোর দিন সকালে প্রত্যাশা মতো জিনিসপত্র কিনতে পারেননি শুভাশিস দাস। তিনি বলেন, রাতেই বাইরে থেকে বাড়ি ফিরেছি। সকালে পুজোর জন্য জিনিস কিনতে গিয়ে চরম সমস্যায় পড়তে হয়। একে তো অনেকে ব্যবসায়ীই বৃষ্টির কারণে পসরা গুটিয়ে ফেলেন। তারওপরে পুরোহিত পেতেও অনেক দেরি হয়ে যায়। বৃষ্টির জেরে পুরোহিতরাও বেরতে পারেননি সঠিক সময়ে। সব মিলিয়ে এদিনের বৃষ্টি তাল কেটেছে পুজোর মেজাজে। তাই মা লক্ষ্মীর পুজো শেষে সকলেই তাকিয়ে শ্যামাপুজোর দিকে।