কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
বালুরঘাট পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান শেখর দাশগুপ্ত বলেন, আমি বোর্ডের দায়িত্ব নেওয়ার পর বালুরঘাট শহরের বেশকিছু রাস্তাঘাট ঠিক করেছি। ফলে ওই এলাকাগুলিতে আর জল জমছে না। এখন যে রাস্তাগুলিতে জল জমে আছে, সেখানেও নিকাশি সহ রাস্তার কাজ করা হবে। আপাতত বৃষ্টির জল না নামলে, সেখানে পাম্পের ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে বালুরঘাট মহকুমার সহ কৃষি অধিকর্তা পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, যেসমস্ত জমিতে ধান প্রায় পেকে গিয়েছে, সেগুলি বৃষ্টির প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই বৃষ্টি আগামী কয়েকদিন যদি টানা চলে তাহলে এবারের ধানের বেশি ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও মাঠে জল জমে থাকলে পরবর্তীতে ধান কাটতে সমস্যা হবে। তবে সব্জি চাষের ক্ষেত্রে তেমন ক্ষতি হবে না।
বালুরঘাট মাঝিয়ান আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সুমন সূত্রধর বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় হলুদ সর্তকতা জারি ছিল। সেই অনুযায়ী বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত ৯০.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বৃষ্টি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলতে পারে। তবে ২২ তারিখ থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল থেকে জেলাজুড়ে হাল্কা থেকে মাঝারি এবং মাঝেমধ্যেই ভারী বৃষ্টিপাত হয়। একদিনে ১০০ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার ফলে বালুরঘাট সহ আশপাশের অঞ্চলে জল জমে গিয়েছে। ভারী বৃষ্টির জেরে রঘুনাথপুর-থানামোড় মূল রাস্তার উপর ত্রিধারা ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় এক হাঁটুরও বেশি জল জমে যায়। এছাড়াও ট্যাঙ্কমোড়, বাসস্ট্যান্ড, জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনের রাস্তা, সাহেব কাছারি সহ ২৫টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন অংশ জলমগ্ন হয়ে পড়ে। যার ফলে সাইকেল বা বাইক নিয়ে সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারছে না। শহরবাসীর অভিযোগ, বৃষ্টি হলেই এই সমস্যায় ভুগতে হয়। নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশাতেই শহরে জলযন্ত্রণা বাড়ছে।
অন্যদিকে, বালুরঘাটের চকভৃগু, জলঘর, অমৃতখণ্ড সহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় ধানের গাছ মাটিয়ে শুয়ে পড়েছে। এছাড়াও কিছু জমিতে ধান কাটা নিয়ে কৃষকরা সমস্যায় পড়েছেন। তাঁদের আশঙ্কা, বেশি বৃষ্টির ফলে ধান গাছ মাটিতে পড়ে যাচ্ছে। আর কয়েকদিন এভাবে বৃষ্টি হলে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবে। জেলার বিভিন্ন ব্লকে একই সমস্যার কারণে কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। এদিকে, মঙ্গলবার বিকেলে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির জেরে বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের জলঘর ট্যাঙ্কিপাড়া এলাকায় গাছ ভেঙে পড়ে। তাতে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গিয়েছে। গোটা গ্রাম বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। বুধবার বৃষ্টি হওয়ায় সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ। বৃষ্টির জেরে আত্রেয়ী নদীও ফুঁলে ফেঁপে উঠেছে। সেচদপ্তর পরিস্থিতির উপর সতর্ক নজর রাখছে বলে জানিয়েছে। জেলা প্রশাসনও পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছে।