কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকা থেকে কাস্ট সার্টিফিকেটের জন্য ২৫৭টি আবেদন জমা করা হয়েছিল। তাতে ৯০ শতাংশ আবেদন বাতিল করা হয়েছে। এদিন ব্যাঙাইজোত, লালিজোত, জয়সিংজোত, ঢাকনাকলোনির কয়েকশো রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষ মণিরাম গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে আসেন। তাঁরা পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করেন। পরে খবর পেয়ে নকশালবাড়ির বিডিও অরিন্দম মণ্ডল পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে তাঁরা ঘেরাও তুলে নেন।
সংগঠনের সভাপতি বলেন, দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে আবেদন জমা দেওয়ার পর স্থানীয় আধিকারিকরা সেইসব নথিপত্র যাচাই করে সুপারিশ করেন। কিন্তু ব্লকের একাংশ আধিকারিক সহজ উপায়ে কাজটি দ্রুত করার জন্য অধিকাংশ আবেদন বাতিল করে দিয়েছেন। রাজবংশীদের প্রথম প্রজন্মের কাস্ট সার্টিফিকেট পাওয়ার অগ্রাধিকার রয়েছে। প্রায় ৯০ শতাংশ আবেদন এভাবে খারিজ হওয়া মানা যায় না। এতে আধিকারিকদের একাংশের গাফিলতি রয়েছে বলে আমরা সরব হই।
রঘুজোতের বাসিন্দা হরিদেব বর্মন বলেন, দুয়ারে সরকারে আবেদন করার পরও কাস্ট সার্টিফিকেটের আবেদনপত্র বাতিল হয়েছে। অনলাইনে আবেদনপত্র বাতিল দেখাছে। এ জন্য এদিন বিক্ষোভে অংশ নিই। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, ব্লক প্রশাসন ২০ জানুয়ারি মণিরাম গ্রাম পঞ্চায়েত প্রাঙ্গণে দুয়ারে সরকারের বিশেষ ক্যাম্পে পুনরায় আবেদন জমা করতে বলেছে। তাতে তাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে ব্লক কর্তৃপক্ষ। যদিও এ বিষয়ে নকশালবাড়ির বিডিও কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক প্রিয়াদর্শনী এস বলেন, সম্ভবত আবেদনকারীরা সঠিকভাবে নথিপত্র জমা করেননি। এ জন্য ব্লকস্তরে সেটি খারিজ করা হয়েছে। তবুও আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট, রিলেশন সার্টিফিকেট, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, জন্ম প্রমাণপত্রের মতো যাবতীয় নথিপত্র সহকারে আবেদন জমা দিতে হবে। ওসব খতিয়ে দেখে পরবর্তীতে কাস্ট সার্টিফিকেট ইস্যু করা হবে।