পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
উদ্যানপালন দপ্তরের জেলা অধিকারিক সুফল মণ্ডল বলেন, আমরা কলাচাষে রায়গঞ্জ মহকুমার চারটি ব্লকের চাষিদেরই উৎসাহ দিচ্ছি। মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় এখন কলা চাষ হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৪১৮ জন কলাচাষিকে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। আরও ফান্ড এলে আরও চাষিকে টাকা দেওয়া হবে। কলাচাষের খরচের ৪০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছি আমরা। জমির পরিমাণের সঙ্গে হিসেব কষলে, হেক্টর প্রতি ৩৫ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় মালভোগ কলার ভালো চাহিদা রয়েছে। সেই কলার চাষ তো হচ্ছেই। সেইসঙ্গে জি-নাইন জাতের কলার চাষও হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের হুগলি ও নদীয়া জেলায় কাঁঠালি কলার চাষ হয়। সেই কলার চাষ যাতে এখানে হয়, সেজন্য দপ্তরের তরফে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মহকুমার প্রায় ১৩০০ হেক্টর জমিতে কলার চাষ হয়। প্রায় ১০ হাজার কলা চাষি রয়েছেন। রায়গঞ্জ মহকুমার কালিয়াগঞ্জ ব্লকে সবথেকে বেশি কলার চাষ হয়। সেইসঙ্গে হেমতাবাদ, রায়গঞ্জ ও ইটাহারেও চাষ হয়েছে। তবে ইসলামপুর মহকুমায় সেভাবে কলার চাষ হয় না বললেই চলে। ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে কলার চাষ সাধারণত হয় না। ওই তিন মাস বাদে বছরের যে কোনও সময় কলা চাষ করা যায়। সেজন্য জলসেচের ব্যবস্থা থাকা দরকার। তবে নিচু জমি, যেখানে জল দাঁড়ায়, সেখানে এই চাষ হবে না। জলসেচের সুষ্ঠু ব্যবস্থা থাকলে এপ্রিল-মে মাসে কলাচাষ করা হলে ফলন ভালো হয়। আর সেচের ব্যবস্থা ভাল না থাকলে জুন-জুলাই মাসে চাষ করতে হয়। স্থানীয়রা বলছেন, সারা বছরই বাজারে কলার চাহিদা থাকে। সেইসঙ্গে পুজো-পার্বনের সময় চাহিদা বাড়ে। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে দামও। পুজোর মরশুমে দক্ষিণবঙ্গ থেকে কলা নিয়ে আসতে হয় ব্যবসায়ীদের। সেজন্য সেই কলার দামও বেশি হয় বলে দাবি তাঁদের। এবার মহকুমাতেই কলা পর্যাপ্ত কলা উৎপাদিত হলে স্বাভাবিকভাবেই দাম কমবে। উৎপাদিত কলা বাইরেও পাঠাতে পারবেন চাষিরা। বাকি কলাচাষিদেরও ভর্তুকির আওতায় দ্রুত নিয়ে আসার দাবি উঠেছে। কলাচাষ নিয়ে প্রচার ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করারও দাবি উঠেছে। এই চাষে কী কী প্রতিকূলতা দেখা দিতে পারে, রোগপোকা রোধে কী ধরনের ব্যবস্থা নিতে হয়, উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কোন কোন সার ব্যবহার করতে হবে, এসব নিয়ে প্রশিক্ষণ দিলে তবেই চাষিরা উৎপাদন বাড়াতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে।