পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
মেয়ের জন্মের শংসাপত্র নিয়ে বিভিন্ন কাজে বারবার হয়রান হতে হচ্ছে। এদিন বিকেলে সেব্যাপারে অভিযোগ জানাতে পুরসভার প্রশাসকের কাছে যান সোহাগী বিবি। তিনি ইংলিশবাজারের সাতঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা। প্রশাসক সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীদের ডেকে পাঠালে জানা যায়, ওই মহিলার হাতে থাকা ওই জন্ম শংসাপত্রটি ভুয়ো। অভিযোগকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, পুরসভার এক কর্মী অর্থের বিনিময়ে তাঁকে ওই শংসাপত্রটি দিয়েছেন। সেই শংসাপত্রটি যে জাল তা তিনি এখন বুঝতে পেরেছেন। ওই ভুয়ো শংসাপত্র নিয়ে স্কুলে মেয়েকে ভর্তি করাতে গিয়ে তিনি সমস্যায় পড়েছিলেন বলে অভিযোগ ওই মহিলার।
ইংলিশবাজার পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন বলেন, দুই-তিনজন কর্মী অর্থের বিনিময়ে এই ধরনের ভুয়ো শংসাপত্র দিচ্ছে বলে বেশ কয়েকটি অভিযোগ এসেছে। ওই কর্মীদের মধ্যে একজনকে ইতিমধ্যেই অন্য বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সাধারণ নাগরিকদের দুর্বলতা ও অসচেতনতার সুযোগ নিয়ে ওই চক্র সক্রিয় বলে মনে করা হচ্ছে। পুরসভার অন্দরেই শুধু নয়, বাইরেও এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সক্রিয় বলেও ধারণা প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সনের।
তবে এই ধরনের ভুয়ো শংসাপত্র চক্রের কারবার রুখতে অভ্যন্তরীণ তদন্ত হচ্ছে কি না, তা নিয়ে অবশ্য প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে চাননি প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন। তিনি বলেন, বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে কি না, তা নিয়ে এখনই কিছু বলছি না। তবে এই চক্রের কাজকারবার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আসছে। নির্দিষ্ট সময়ে প্রশাসনিকস্তরে অভিযোগ জানিয়ে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
ইংলিশবাজার পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, জন্ম বা মৃত্যুর শংসাপত্র অনেকেই নির্দিষ্ট সময়ে সংগ্রহ করেন না। দীর্ঘ সময় কেটে যাওয়ার পরে কেউ যখন ওই শংসাপত্র সংগ্রহ করতে আসেন, তখন বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। অনেকেই চান, কোনওভাবে দ্রুত ওই শংসাপত্র হাতে পেতে। তারই সুযোগ নিয়ে থাকে ওই ভুয়ো শংসাপত্র চক্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা।
এদিন ঘটনার পরে পুরসভার বিভিন্ন বিভাগে বিনা নোটিসে পৌঁছে যান প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন। বিভাগগুলির কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এই ধরনের চক্রের কারবার সম্পর্কেও সচেতন করেন তিনি।
এদিকে, পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংলিশবাজার পুরসভায় এখনও বহু নথির ডিজিটালাইজেশন হয়নি। কম্পিউটারে সমস্ত নথির তথ্য তোলা থাকলে তা দ্রুত পেতে নাগরিকদের সুবিধা হয়। নাগরিকদের বক্তব্য, পুরসভা নাগরিকদের দৈনন্দিন বিভিন্ন পরিষেবা দিয়ে থাকে। বর্তমান যুগে যখন সব কিছুই আধুনিক প্রযুক্তিতে হচ্ছে, তখন পুরসভাতেও ডিজিটালাইজেশন অত্যন্ত জরুরি বলে দাবি তুলেছেন নাগরিকরা। তাঁদের বক্তব্য, পুরনো সব নথিপত্র ডিজিটাল করে দেওয়া হলে নাগরিকদের হেনস্তাও যেমন কমবে, তেমনই শংসাপত্র বা অন্য নথি জাল করার সুযোগ প্রায় থাকবে না বললেই চলে।
এই প্রসঙ্গে নীহারবাবু বলেন, পুরসভার বেশ কিছু বিভাগ ইতিমধ্যেই কম্পিউটারাইজড করা হয়েছে। তাতে নাগরিকদের সুবিধাও হয়েছে। পুরসভার বিভিন্ন কাগজপত্র ডিজিটালাইজড করার প্রস্তাবকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। বিষয়টি বিবেচনা করে পদক্ষেপ করা হবে। ফাইল চিত্র