পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
শনিবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সহ মালদহ জেলার আটটি কেন্দ্র থেকে টিকাকরণের কাজ শুরু হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রতিটি শিবির থেকে ১০০ জন করে মোট ৮০০জনের টিকাকরণ হবে। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে মালদহ মেডিক্যালের টিকাকরণ বেলা ১টা নাগাদ কিছুক্ষণের জন্য দেখবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) বৈভব চৌধুরী বলেন, মালদহ মেডিক্যাল ছাড়াও বেদরাবাদ, বামনগোলা, সিলামপুর, মানিকচক, হরিশ্চন্দ্রপুর ও সামসী গ্রামীণ হাসপাতাল ও চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে প্রথমদিনই। মেডিক্যাল ছাড়া বাকি সাতটি কেন্দ্রে সাতজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদমর্যাদার আধিকারিক থাকবেন সামগ্রিক নজরদারি ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে।
জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, প্রথমদিনের টিকাপ্রাপকদের মধ্যে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, ভিআরডিএলের কর্মী ছাড়াও সাফাইকর্মীদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, টিকাকরণের সব আয়োজন সম্পূর্ণ। আমরা প্রস্তুত রয়েছি। কোল্ড চেইন বজায় রেখে ওই ভ্যাকসিনগুলি নির্দিষ্ট সংখ্যায় বিভিন্ন টিকাকরণ শিবিরে পাঠানো হয়েছে।
মালদহ মেডিক্যালের সুপার তথা উপাধ্যক্ষ জানিয়েছেন, যাঁরা প্রথমদিন ভ্যাকসিন পাবেন তাঁদের কাছে ইতিমধ্যেই এসএমএস পৌঁছে যাওয়ার কথা। তবে তারপরেও প্রত্যেককে আলাদা করে ফোন বা মেসেজ করে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ১৫ জনের একটি টিম পুরো প্রক্রিয়ার নজরদারির সঙ্গে যুক্ত থাকছে। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি মেডিক্যালের কর্তারাও ওই টিমে থাকছেন।
মালদহ মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, টিকাকরণের কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেলে জরুরি পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে কয়েকটি সাধারণ ও সিসিইউ বেড তৈরি রাখা হয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আজ ছয়টি কেন্দ্র থেকে টিকা দেওয়া হবে। ভ্যাকসিন পাবেন মোট ৬০০ জন। বালুরঘাটের মাতৃমঙ্গল, খাসপুর গ্রামীণ হাসপাতাল, কুশমন্ডি, হরিরামপুর, হিলি গ্রামীণ হাসপাতাল ছাড়াও গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে টিকা দেওয়া হবে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ। এদিন সকাল থেকেই প্রথম দিনের ভ্যাকসিন প্রাপকদের মেসেজ করে জানিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ফোনও করা হচ্ছে। প্রথম দিন চিকিৎসক, নার্স, আশা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সাফাই কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ছয়টি কেন্দ্রেই ভিডিও কনফারেন্সের ব্যবস্থা করা রয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, আমরা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করতে চলেছি। এদিন আমি নিজে ছয়টি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি।
এদিকে উত্তর দিনাজপুর স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অ্যাপ ঠিকমতো কাজ করছে না। তাই শনিবার যাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, তাঁদের অনেকের কাছেই মেসেজ নাও পৌঁছতে পারে। কিন্তু তাতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেজন্য জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা প্রাপকদের ফোন করে জানিয়ে দিচ্ছেন।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কার্তিক মণ্ডল বলেন, অ্যাপ ঠিক মতন কাজ করছে না তাই সকলকে ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জেলার রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ, ইটাহার ও হেমতাবাদ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, চাকুলিয়া ও করণদিঘি রুরাল হাসপাতাল এবং ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে ভ্যকসিন দেওয়া হবে। প্রতিটি সেন্টারে প্রথমদিন ১০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। জেলায় মোট ৬০০ জন টিকা পাবেন প্রথমদিন।