পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
এব্যাপারে মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (স্বাস্থ্য) বৈভব চৌধুরী বলেন, বুধবার আমাদের হাতে করোনা ভ্যাকসিনের ২২ হাজার ডোজ এসে পৌঁছেছে। জেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে জড়িত ১৯ হাজার জনের তালিকা তৈরি রয়েছে। তারমধ্যে চিকিৎসক এবং নার্সদের প্রথম টিকাকরণ হবে। কারণ তাঁরা রোগীর সংস্পর্শে বেশি থাকেন। তারপর বাকি স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া হবে। পরবর্তী পর্যায়ে হাতে পাওয়ার টিকার ডোজ অনুযায়ী পুলিস, প্রশাসন সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে কর্মরত করোনা যোদ্ধাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে টিকা মজুত করা হয়েছে। আগামীকাল, শনিবার মুখ্যমন্ত্রী টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করবেন। তারপর জেলায় টিকাকরণের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। মালদহের আটটি জায়গায় টিকাকরণ হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে চারজন টিকা দেবেন। পরবর্তী পর্যায়ে জেলার প্রতিটি ব্লকে টিকাকরণ হবে। জেলা সদর থেকে ব্লক স্তরে টিকা পরিবহণের ক্ষেত্রে কড়া নিরাপত্তার আয়োজন করা হচ্ছে। গণটিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হলে অঞ্চল স্তরেও পরিকাঠামো তৈরি করতে হতে পারে। পরিবর্তিত পরিস্থিতি এবং সরকারের নির্দেশমতো আমরা কাজ করব।
উল্লেখ্য, মালদহে ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ করোনার টিকা আসার কথা ছিল। কিন্তু তার অনেক আগেই জেলায় টিকা পৌঁছে গিয়েছে। ফলে প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের অন্দরে এখন সাজো সাজো রব। প্রথম দফায় ৩০ হাজার জনকে টিকা দেওয়া যাবে বলে জেলা প্রশাসন আশা করেছিল। সেইমতো তালিকাও প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল। সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে জড়িতদের পাশাপাশি পুলিস, প্রশাসন এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে জড়িতদের টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছিল। কারণ ওইসব ক্ষেত্রে কর্মরত কর্মী-আধিকারিকরা করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও কর্তব্যে অবিচল ছিলেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা দেশবাসীর সেবা করে গিয়েছেন। কর্মরত অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। ফলে মালদহ জেলা প্রশাসন টিকাকরণের ক্ষেত্রে তাঁদের অগ্রাধিকার দেয়। কিন্তু প্রথম পর্যায়ে টিকার ডোজ আশানুরূপ আসেনি। ফলে প্রশাসনকে কিছুটা ধীরে চলো নীতি নিতে হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহে বর্তমানে করোনার প্রকোপ অনেক কম। দৈনিক সংক্রমণের হার কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে। সাবধানতা অবলম্বন করছেন এমন মানুষজনকে করোনা ভাইরাস ছুঁতে পারছে না। তবে চিকিৎসক এবং নার্সদের এখনও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে। রোগীদের সঙ্গেই তাঁদের থাকতে হচ্ছে। ফলে অন্যান্যদের তুলনায় তাঁদের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে টিকাকরণের ক্ষেত্রে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। বাকি স্বাস্থ্যকর্মীরাও টিকা পাবেন। স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে জড়িত সকলের টিকাকরণ শেষ হওয়ার পর পুলিস এবং প্রশাসনের কর্মী-আধিকারিকদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে। ফলে টিকা না নেওয়া পর্যন্ত সকলকে সরকারি পরামর্শ মেনে চলার জন্য বিশেষজ্ঞরা অনুরোধ করছেন।