উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
কয়েকদিন আগেই কালিম্পংয়ে পাহাড়ে ধস নেমেছিল। ধস কবলিত ওই এলাকা মেরামতি করা হয়েছে। বৃষ্টির জেরে ফের সোমবার বিকেলে কালিম্পংয়ে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ২৯ মাইল এলাকায় ধস নেমেছে। এতে হতাহতের কোনও খবর না থাকলেও শিলিগুড়ির সঙ্গে কালিম্পং ও সিকিমের যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ওই দিন থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত কালিম্পং থেকে বহু ট্যাক্সি সহ যানবাহন দার্জিলিংয়ের জোরবাংলো হয়ে শিলিগুড়িতে এসেছে। রম্ভি থানার পুলিস ও পূর্তদপ্তর ধস সরানোর কাজ করছে।
আবহাওয়াদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী এদিন শিলিগুড়িতেও বৃষ্টি হয়। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় এই শহরে বৃষ্টি হয়েছে ১১.৪০ মিলিমিটার। এর জেরে শহরের বেহাল রাস্তাগুলির অবস্থা আরও শোচানীয় হয়ে পড়েছে। রাস্তার খানাখন্দে বৃষ্টির জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। অনেক জায়গায় জল নেমে যাওয়ার পর রাস্তায় কাদা জমেছে। এতে জনজীবন কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। সিকিম আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, উত্তরবঙ্গ সহ শিলিগুড়িতে আগামী তিনদিন ভারী থেকে অতিভারী মাত্রায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। অন্যদিকে, পাহাড়েও ভারী মাত্রায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার রাতে কোচবিহার জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে শহরের কিছু এলাকায় রাস্তায় কাদা জমেছে। আলিপুরদুয়ার জেলার অবস্থাও একই। এদিন বৃষ্টির জেরে জেলার রাস্তাঘাটেও সেরকম ভিড় ছিল না। জেলার তাপমাত্রাও কিছুটা কমেছে। এদিন জলপাইগুড়িতে আকাশ মেঘলা ছিল। সকালে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়। দুপুরে অবশ্য রৌদ্র ঝলমলে আকাশ ছিল। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হয়েছে ৪.৫ মিলিলিটার ও সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩.৬ মিলিলিটার।
মাল, মেটেলি, নাগরাকাটা, বানারহাট, বিন্নাগুড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় দিনভর বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বৃষ্টিপাতের ফলে চা বাগানের উপকার হলেও ক্ষতি হয়েছে অসময়ের শাকসব্জির। মাঝেমধ্যেই বৃষ্টিপাতের ফলে বেগুন, কাচা লঙ্কা, বাধাকপি, ফুলকপির চারা অনেকেই রোপন করতে পারছে না। এই বৃষ্টিপাতের কারণে এদিন মাল মহকুমা এলাকায় রাস্তাঘাটে মানুষজনকে সেভাবে বের হতে দেখা যায়নি।