বিদ্যার্থীরা কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষার ভালো ফল করবে। বিবাহার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের কারও ... বিশদ
করোনা পুজো করা মহিলাদের দাবি, সম্প্রতি বিহারের বারুণীর একটি জমিতে দুই মহিলা ঘাস কাটছিলেন। সেই সময় হঠাৎ করে সেখানে করোনা দেবী প্রকট হন। তারপর ওই মহিলারা ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় করোনা দেবী তাঁদের ডেকে আশ্বস্ত করেন, তাঁকে পুজো করলে করোনা ভাইরাসের অতিমারীর প্রকট থেকে গ্রাম রক্ষা পাবে। চাষ করা হয়নি এবং ঘাস রয়েছে সেইরকম একটি জায়গা বেছে নিয়ে পূর্ণিমায় ন’টি লাড্ডু, ন’টি লবঙ্গ, ন’টি লাল জবাফুল, সিঁদুর ও ধূপকাঠি জ্বালিয়ে পুজো করলে করোনার প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। সেইসঙ্গে করোনা দেবীর জয়ধ্বনি দিয়ে আরও অন্যান্যদের পুজো করতে বলতে হবে। সেই কথা বিহারে থাকা ও অন্যান্য জায়গায় থাকা আত্মীয়রা ফোনে জানানোর পর এদিন তাঁরা পুজোর আয়োজন করেন। দিনহাটার পাশাপাশি কোচবিহার শহর সংলগ্ন তোর্ষা নদীর ধারেও এদিন কিছু মহিলা পুজো করেন।
বিজ্ঞানের যুগে ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে এমন পুজোর কথা জানতে পেরে হতবাক পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের দিনহাটা বিজ্ঞান কেন্দ্রের সম্পাদক মনমোহন নাথ। তিনি বলেন, এগুলি সবেই মানুষের অবৈজ্ঞানিক চিন্তার ফল। এভাবে ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায় নাকি? তবে এর পিছনে যদি কোনও সুযোগসন্ধানী লোকের ইন্ধন থাকে প্রশাসনের সেটা দেখা উচিত। পাশাপাশি কুসংস্কার যাতে এই সঙ্কটময় মুহূর্তে সমাজের বড় অংশের ক্ষতি করতে না পারে, সেটাও প্রশাসনের কঠোরভাবে দেখা উচিত।
দিনহাটার বসিন্দা নেছার আলম বলেন, এদিন হঠাৎ করে দেখি বাড়ির পাশে একটি জমিতে একদল মহিলা পুজো করছেন। কৌতূহল হওয়ায় ওঁদের গিয়ে জিজ্ঞাস করতেই ওঁরা বলেন, করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে করোনা দেবীর পুজো করছেন। শুনে অবাক হই। পুজো করা পার্বতীদেবী রজক বলেন, আমরা করোনার প্রকোপ থেকে বাঁচতে করোনা মায়ের পুজো করেছি। পুজো করলেই করোনা থেকে রক্ষা মিলছে, এটা আমাদের বিশ্বাস। এখন থেকে প্রতি সোমবার এবং শুক্রবার করে আমরা করোনা দেবীর পুজো করব।
কোচবিহারের বাসিন্দা লক্ষ্মী রজক বলেন, বিহার থেকে ফোনে করোনা দেবীর পুজো করার কথা আত্মীয়রা জানিয়েছেন। তাই এদিন পুজোর আয়োজন করি। এলাকার অনেকেই পুজোয় শামিল হন।
কোচবিহার জেলায় এখনও পর্যন্ত দিনহাটা মহকুমাতেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। তাই দিনহাটার গ্রামেগঞ্জে কুসংস্কারের বসে অনেকেই এমন পুজোয় মেতেছেন।