বিদ্যার্থীরা কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষার ভালো ফল করবে। বিবাহার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের কারও ... বিশদ
সোমবার থেকে ধর্মীয় স্থান খোলার ব্যাপারে ছাড়পত্র দেওয়া হলেও সাবধানী বিভিন্ন মন্দির কমিটি। শিলিগুড়িতে সোমবার প্রথা মেনে বেশ কয়েকটি মন্দিরে ভক্তদের পুজো দেওয়া শুরু হলেও প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। শিলিগুড়ির আনন্দময়ী কালীবাড়ি মন্দির এদিনই ভক্তদের জন্য খোলা হয়। এজন্য মন্দির কমিটি আগে থেকেই যাবতীয় প্রস্তুতির কাজ সম্পন্ন করে রেখেছিল। মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে একই সঙ্গে ১০ জনকে অনুমতি দেওয়া হয়। তাঁদের জন্য মন্দির চত্বরে নির্দিষ্ট দাগ কেটে দেওয়া হয়। ওই ১০ জন মন্দির থেকে বের হওয়ার পরই বাইরে অপেক্ষারত সমসংখ্যক ভক্তকে মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে মন্দিরের গেটে ভক্তদের হাত পরিষ্কারের জন্য স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়। আনন্দময়ী কালীবাড়ি মন্দির কমিটির সম্পাদক ভাস্কর বিশ্বাস বলেন, আমরা সরকার নির্দেশিত সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে এদিন থেকে ভক্তদের জন্য মায়ের মন্দির খুলে দিয়েছি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুজো দেওয়ার পদ্ধতিতেও কিছুটা বদল আনা হয়েছে। সবক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে সেভকের সেভকেশ্বরী কালী মাতার মন্দির এদিন বন্ধ ছিল। মন্দির কমিটির পর্যবেক্ষক স্বপন বসু বলেন, আমরা এখনই মন্দির খুলছি না। ৫ জুন মন্দির খোলা হবে। ওইদিন মন্দিরে পুজো হবে। তবে ভক্তদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে। ভক্তদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আগে আমরা মন্দির স্যানিটাইজ করব। পুরোহিত সামাজিক দূরত্ব মেনে পুজো করবেন।
অন্যদিকে, কোচবিহারের মদন মোহন মন্দিরে অবশ্য এখনই ভক্তরা প্রবেশ করতে পারবেন না। কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বলেন, মদন মোহন মন্দিরে ভক্তরা এখনই প্রবেশ করতে পারবেন না। মন্দির ও দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের অধীনে থাকা মন্দির গুলিতে আপাতত আগের অবস্থাই বজায় থাকবে। অন্যদিকে, এদিন থেকেই খুলে গিয়েছে ময়নাগুড়ির জল্পেশ মন্দির। সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে ১০ জনের বেশি ভক্তকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ভক্তদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি করোনা সতর্কতায় চন্দনের ফোঁটা দেওয়াও বন্ধ রয়েছে। এদিকে, জলপাইগুড়ির মালবাজারের শিবম বালাজি মন্দির, নাগরাকাটার কুট্টি মন্দির, মেটেলির কালীবাড়ি এদিনই খোলা হয়েছে। তবে ভক্তদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেও জোর দেয় মন্দির কর্তৃপক্ষ। আলিপুরদুয়ারেও এদিন অধিকাংশ মন্দির খোলা ছিল। শহরের ঐতিহ্যবাহী দুর্গাবাড়ি মন্দির খোলা ছিল।