ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
চা বাগান তৃণমূল কংগ্রেস মজদুর ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি প্রভাত মুখোপাধ্যায় বলেন, লকডাউন পরিস্থিতিতে চা শ্রমিকদের যাতে খাবারের অভাব না হয় সেজন্য রাজ্য সরকার বিনামূল্যে চাল, গম ও আটা দিচ্ছে। অথচ কেন্দ্রীয় সরকার চা শ্রমিকদের জন্য কোনও প্যাকেজ দিচ্ছে না। আমাদের দাবি কেন্দ্রীয় সরকার এই প্যাকেজ দিক।
বিজেপি’র আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা অবশ্য বলেন, রাজ্য সরকার যে চা শ্রমিকদের বিনামূল্যে চাল, গম ও আটা দিচ্ছে তাতে কেন্দ্রীয় সরকারেরও অংশীদারিত্ব আছে। কিন্তু রাজ্য সরকার দেখাতে চাইছে শ্রমিকদের সেই চাল আটা ও গম শুধুমাত্র রাজ্যই দিচ্ছে। এটা ঠিক নয়।
উত্তরবঙ্গে সরকারিভাবে ৩০২টি চা বাগান আছে। এই চা বাগানগুলির সিংহভাগই পড়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার এই তিন জেলায়। করোনার জেরে ভিনরাজ্য থেকেও অনেক শ্রমিক চা বাগানে ফিরে এসেছেন। লকডাউনে বাগানে এখন উৎপাদন বন্ধ। নো ওয়ার্ক নো পে’র ভিত্তিতে কাজ করার জন্য লকডাউন পিরিয়ডে শ্রমিকরা মজুরিও পাবেন না। এই অবস্থায় চা শ্রমিকদের ত্রাতা হয়ে উঠেছে রাজ্য সরকার। অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা খাতে রাজ্য সরকার শ্রমিকদের বিনামূল্যে পরিবার পিছু প্রতি মাসে ১৫ কেজি চাল এবং ২০ কেজি গম দিচ্ছে। কেউ আটা না চাইলে গমের বদলে বিনামূল্যে ১৯ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও রাজ্য সরকার অগ্রাধিকার প্রাপ্ত বিশেষ পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক খাতে প্রতি মাসে ২ কেজি চাল এবং ৩ কেজি করে গম দিচ্ছে। আবার রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা-১ খাতেও বিনামূল্যে মাসে ২ কেজি চাল ৩ কেজি গম দিচ্ছে প্রাপ্তবয়স্কদের। রাজ্য সরকার স্পেশাল ট্রাইবাল কার্ডেও প্রতি মাসে ৮ কেজি করে চাল ও ৩ কেজি করে গম দিচ্ছে চা শ্রমিকদের। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে চা শ্রমিকরা বেজায় খুশি। সব মিলিয়ে লকডাউন পিরিয়ডে রাজ্যই এখন ভরসা উত্তরের চা শ্রমিকদের।