ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
শিলিগুড়ি দমকল বিভাগের আধিকারিক ভাস্কর নাগ বলেন, আমরা সরকারি নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই হাসপাতাল, বাসস্ট্যান্ডের মতো জনবহুল এলাকা জীবাণুমুক্ত করেছি। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জনবহুল এলাকায় যাওয়া হচ্ছে। জ্যোতিনগর, জংশন এলাকায় যেখানে করোনা সন্দেহে রোগীরা ছিলেন, সেখানেও গিয়ে আমরা স্যানিটাইজ করে এসেছি। পুর কর্তৃপক্ষও শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্যানিটাইজের কাজ করছে। এ কাজ করতে গিয়ে আমরা যাতে কোনওভাবে আক্রান্ত না হই, তারজন্য যথেষ্ট সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েই তা করছি। আমরা প্রতিটি জায়গাতেই যাওয়ার আগে গ্লাভস, মাস্ক, পিপিই কিট পরছি।
শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আমরা হিলকার্ট রোড, কাছারি রোড সহ বিভিন্ন রাস্তা এমনকী কাউন্সিলারা নিজেদের উদ্যোগে ওয়ার্ডের ভিতরের রাস্তাঘাট স্যানিটাইজ করছেন। এজন্য তাঁদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সিপিএমের তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা মাঝেমধ্যেই ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট স্যানিটাইজ করছি। ওয়ার্ডে ব্লিচিং পাউডার দেওয়া হচ্ছে, মশা মারার তেল স্প্রে করছি।
স্বাস্থ্যদপ্তরের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, কালিম্পংয়ে মারণ ভাইরাস করোনার থাবায় এক মহিলার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য দপ্তরের সূত্র অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোভিড-১৯ পজিটিভে একাধিক রোগী ভর্তি আছেন। এমন অবস্থায় মারণ ভাইরাসটির বাড়বাড়ন্ত রুখতে একদিকে স্বচ্ছতা বজায় রাখা, অন্যদিকে জলের সঙ্গে রাসায়নিক মিশিয়ে স্প্রে করার কাজ চলছে। পাশাপাশি প্রশাসন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তাঘাটে, হাটেবাজারে চলতে বলছে।
স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীরা যেমন করোনা মোকাবিলায় কাজ করে চলেছেন, তেমনই যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে দমকল কর্মীরাও তাতে শামিল হয়েছেন। সরকারি নিয়ম মেনে দমকল বিভাগ বিভিন্ন দপ্তর, এলাকা ও বাড়ি স্যানিটাইজ করছে।
এতদিন কোথাও আগুন লাগলে কিংবা জরুরি অন্য কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে যেতেন। জীবনের সঙ্গে ঝুঁকি নিয়ে এতদিন তাঁরা লড়াই করে এসেছেন। তবে এই লড়াই আগুনের সঙ্গে নয়, কিংবা কুয়োয় পড়ে যাওয়া কিংবা উঁচু গাছে বা টওয়ারে উঠে পড়া কোনও মানুষ বা প্রাণী উদ্ধার করা নয়। লড়াইটা একেবারে ভিন্ন, আরও কঠিন। খালি চোখে না দেখা অজানা এক শত্রুর বিরুদ্ধে এ লড়াই চলছে।