বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
দীর্ঘদিন ধরে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ ফাঁকা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহে প্রশাসনিক বৈঠকে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর গত বছর ২৮ নভেম্বর পদ থেকে ইস্তফা দেন উপাচার্য স্বাগত সেন। তখন থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত অভিভাবকহীন।
এদিন শিলিগুড়িতে ওই উপাচার্যের পদত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রাজভবনের সঙ্গে একটি সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তা মিটে গিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে আপাতত অস্থায়ীভাবে উপাচার্য নিয়োগ করা হবে। তারপর স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হবে। এজন্য ইতিমধ্যে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কমিটি কাজও শুরু করে দিয়েছে।
এদিন উত্তরকন্যায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব সহ শিক্ষাদপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে শিলিগুড়ি, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, কালিম্পং জেলা থেকে ৭৩টি কলেজ এবং উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন।
পরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেখা যায়, কিছু কলেজে ছাত্র সংখ্যা বেশি। আবার কিছু কলেজে ছাত্র সংখ্যা কম। তাই কলেজগুলিতে ছাত্র ভর্তির ব্যাপারে ভারসাম্য বজায় রাখতে বলা হয়েছে। কলেজগুলিতে যাতে নিয়মিত ক্লাস হয়, সেদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। তাছাড়া, কিছু কলেজে টিচার ইনচার্জ রয়েছে। সেগুলিতে প্রিন্সিপ্যাল নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এরপর গেস্ট টিচার সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জাবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আইন অনুসারে গেস্ট টিচারদের কলেজ শিক্ষক পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু মাস্টার ডিগ্রিতে অনেক গেস্ট টিচারেরই প্রাপ্ত নম্বর ৫৫ শতাংশের কম আছে। অনেকে আবার ৫৫ শতাংশ পেয়েও দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। কীভাবে এর মধ্যে সমন্বয় সাধন করে সমস্যা মেটানো যায়, সেটা আমরা দেখছি।