ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, মাঝে মধ্যেই দাম্পত্য কলহ লেগে থাকত। এই ঘটনা অবৈধ প্রণয়ের জের হতে পারে। ঘটনায় পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানান মৃতের পরিবারের সদস্যরা। পুলিস পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
ডেপুটি পুলিস সুপার ধীমান মিত্র বলেন, পুলিস পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে। মৃতের পরিবারের তরফে এখনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে।
মৃতের ভাই পলাশ বর্মন বলেন, আমার দাদার সংসারে দাম্পত্য কলহ লেগে থাকত। কোনও অবৈধ প্রণয় নিয়ে বিবাদ হতো। বুধবার সন্ধ্যের পর দাদা আর বাড়ি আসেনি। পরিকল্পনা করে কেউ দাদাকে খুন করেছে। সৎকার শেষ হলেই বালুরঘাট থানায় এই নিয়ে আমরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করব। দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি করছি।
মৃতের স্ত্রী জয়ন্তী বর্মন বলেন, কাল রাতে ও আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজ করেছি। কেউ হয়ত স্বামীকে খুন করেছে। পুলিস তদন্ত করলে প্রকৃত দোষী কে, তা বেরিয়ে আসবে। আমি চাই দ্রুত দোষীকে গ্রেপ্তার করা হোক। অবৈধ প্রণয়ের কথা আমার জানা নেই।
স্থানীয় বাসিন্দা গজেন, নিতাই, কনক বর্মনরা বলেন, আমরা সকালে কৃষি জমিতে কাজ করতে গিয়ে মৃতদেহ দেখতে পাই। কাছে গিয়ে দেখতে পাই মৃত ব্যক্তি এলাকার টোটোচালক সুকুমার। তার মাথায় আঘাত ও কানে কাটা দাগ রয়েছে। গলাতেও দাগ রয়েছে।
জানা গিয়েছে, মৃত সুকুমার বর্মন কুমারগঞ্জ থানার মোহনা গ্রাম পঞ্চায়েতের গয়েশপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। বাল্যকালে তিনি পশ্চিম রায়নগরে পাঙ্গারপাড়াতে মাসির বাড়িতে থাকতেন। পরে তিনি এখান থেকেই ভোটার কার্ড, আধার কার্ড সহ যাবতীয় কাগজপত্র বানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা হয়ে যান। ২৫ বছর আগে জয়ন্তী বর্মনের সঙ্গে বিয়ে হয় সুকুমার বর্মনের। তাঁদের দুই মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছোট মেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। জানা গিয়েছে, আগে শ্রমিকের কাজ করতেন মৃত সুকুমার বর্মন। কয়েক বছর আগে টোটো কিনে শহরের চালিয়ে উপার্জন করতেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন টোটো চালিয়ে সন্ধ্যের পরে বাড়ি ফিরলেও বুধবার তিনি বাড়িতে আর আসেসনি। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুজি করে সুকুমার বর্মনকে পাননি। সকাল হতেই বাড়ি থেকে কিছু দূরে ল’ কলেজের পিছনে সুকুমার বর্মনের রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এলাকায় শোরগোল পরে যায়। জানা গিয়েছে, ল’ কলেজ থেকে কিছু দূরে একটি জঙ্গল এলাকা থেকে সুকুমার বর্মনের জুতো ও টর্চ লাইট উদ্ধার করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাসিন্দাদের অনুমান, সুকুমারবাবুকে হয়তো সেই জঙ্গলে খুন করে তারপর তাঁকে ল’ কলেজে পিছনে ফেলে রেখে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। আবার তাঁকে সেখান থকে তুলে নিয়ে এসে ল’ কলেজের পিছনের মাঠেও খুন করা হয়ে থাকতে পারে।