ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, পুরসভার বিভিন্ন কাজে অনিয়ম, পুরসভা পরিচালনায় অপদার্থতার কারণে সাধারণ মানুষ বীতশ্রদ্ধ। লোকসভা নিবার্চনে সেই জনাদেশ ভোটাররা দিয়েছেন। আমরা আশাবাদী, স্বচ্ছ পুরসভা গড়তে এবার শহরবাসী বিজেপিকে দু’হাত তুলে আর্শীবাদ করবে। আমরা কমপক্ষে ১৫টি আসনে জয়ী হব। কংগ্রেস, তৃণমূল থেকে অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগযোগ করছেন। শীঘ্রই তাঁদের দলে নেওয়া হবে।
লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে বিজেপি বিপুল ভোটে লিড পায়। তাই এবার তারা পুরসভায় বোর্ড দখলের মরিয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু মোদি হাওয়ায় লোকসভা নির্বাচনে জেতা আর পুরভোট যে এক নয় সেটা দলের নেতারাও জানেন। তাই পুরভোটে জিততে নির্বাচনী রণনীতি তৈরি করতে শুরু করেছেন। যোগ্য মুখের অভাব যে শহরে আছে সেটা বিজেপি নেতারা জানেন। তাই যোগ্য লোক সামনে আনতে হলে অন্যদল ভাঙিয়ে আনা যে দরকার সেটাই করতে তাঁরা উদ্যোগী হয়েছেন। বিজেপির অন্দরমহল সূত্রে খবর, অনেক ওয়ার্ডেই একাধিক ব্যক্তি প্রার্থী হতে চাইছেন। কিন্তু তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা ওয়ার্ডে কেমন আছে সেটা দল আগে যাচাই করবে। নেপালি অধ্যুষিত এবং শরণার্থী এলাকায় বিজেপির প্রভাব এখানে অনেকটাই ভালো। কয়েকটি ওয়ার্ডে জেতার মতো অবস্থায় থাকলেও অধিকাংশ ওয়ার্ডে লড়াই করার মতোই জায়াতেই তারা নেই। তাই ১৫টি ওয়ার্ড বেছে নিয়ে বিজেপি মেপে পা ফেলতে চাইছে। বিজেপির একটি পক্ষের দাবি, জলপাইগুড়ি পুরসভা এককভাবে কেউ দখল করতে পারবে না। যতই বাম-কংগ্রেস জোট হোক বা পিকের দল তৃণমূলের হয়ে রণকৌশল তৈরি করুক সংখ্যা গরিষ্ঠ বোর্ড গড়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে নির্ণায়ক হয়ে তারা দাঁড়াবে। বিজেপির সাহায্য ছাড়া কেউ এককভাবে ক্ষমতায় আসতে না পারালেও তারাই যাতে নির্ণায়ক হয় সেটার ছকও নেতৃত্ব কষছে।