বিএনএ, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি জেলায় পাঁচ লক্ষেরও বেশি উপভোক্তার নাম স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে নথিভুক্ত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে জেলার সরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিতে পাওয়া পরিষেবাগুলির বিষয়ে হেল্পলাইন খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ফ্লেক্স হোডিং টাঙিয়ে স্বাস্থ্যসাথীর বিষয়ে প্রচারেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এনিয়ে জেলার সরকারি হাসপাতালের রোগী সহায়তা কেন্দ্রের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবে প্রশাসন। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক তেওয়ারি বলেন, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে জেলায় ৫ লক্ষ ১৭ হাজার উপভোক্তার নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। আরও বেশি মানুষের কাছে এই সুবিধা পৌঁছে দিতে আমরা এর প্রচারে জোর দিয়েছি। সমস্ত হাসপাতাল, নার্সিংহোমগুলিতে স্বাস্থ্যসাথী বিষয়ক হেল্প ডেস্ক তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও জলপাইগুড়ির একাধিক নার্সিংহোমে নানা সুযোগ সুবিধা না পাওয়ার অভিযোগ ওঠে বারবার। স্বাস্থ্য দপ্তরের প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত না হওয়া পরিষেবাগুলি দিতে পারছে না নার্সিংহোমগুলি। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে গিয়ে পরিষেবা না পাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ জন্মাচ্ছে। সাধারণ মানুষের হয়রানি রুখতে জেলার কোন নার্সিংহোম কী ধরনের স্বাস্থ্যসাথীর প্যাকেজে যুক্ত রয়েছে তা হোর্ডিং দিয়ে প্রশাসন জানিয়ে দেবে। দ্রুত হোর্ডিং লাগানোর কাজ শুরু হবে। প্রশাসন জানিয়েছে, রাজ্যে নার্সিংহোমগুলির পরিকাঠামো এবং পরিষেবাগুলির উপর ভিত্তি করে তাদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। অধিক সুবিধা যুক্ত নার্সিংহোমগুলিকে ‘এ’, মধ্যমগুলিকে ‘বি’ ও সাধারণ নার্সিংহোমগুলিকে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোনও নার্সিংহোম নেই। তাই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও এই নার্সিংহোমগুলিতে বড় অপারেশনের সুযোগ পাবেন না স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের উপভোক্তারা। তবে শিলিগুড়িতে ‘এ’ ক্যাটাগরি নার্সিংহোম থাকায় স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দেখিয়ে বড় অপারেশনগুলি ওই নার্সিংহোম থেকে করতে পারবেন উপভোক্তারা। বিষয়টি সর্ম্পকে সচেনতা না থাকায় স্বাস্থ্যথী কার্ড দেখিয়ে জলপাইগুড়ির অনেক নার্সিংহোমে জটিল অপারেশন করাতে উদ্যোগী হয় উপভোক্তারা। কিন্তু নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় অপারেশন করতে অস্বীকার করলে সমস্যা হয়। নার্সিংহোমের সঙ্গে স্বাস্থ্যসাথী উপভোক্তাদের এই ভুল বোঝাবুঝি দূর করতেই নার্সিংহোমগুলিতে স্বাস্থ্যসাথী সর্ম্পকিত হেল্পডেস্ক তৈরি করা হবে। সেই হেল্পডেস্কের কর্মীরা স্বাস্থ্যসাথী উপভোক্তাদের তাদের প্রাপ্ত পরিষেবা সর্ম্পকে বিস্তারিত জানাবেন।
হাসপাতালের কর্মীরাও অনেক সময় সঠিক তথ্য দিতে পারেন না স্বাস্থ্যসাথী বিষয়ে। তাদের স্বাস্থ্যসাথী বিষয়ে আরও অবহিত করতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে জেলা প্রশাসন। তবে জেলায় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সমস্ত উপভোক্তার বিষয়ে তথ্য ওয়েবসাইটে আপলোড করে ফেলেছে জেলা প্রশাসন। ৫ লক্ষ ১৭ হাজার উপভোক্তার বিষয়েই তথ্য আপলোড করা হয়েছে। এর পাশাপাশি জেলাজু঩ড়ে কার্ড বিলির কাজ চলছে।