মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
কোচবিহার থিয়েটার গ্রুপের সম্পাদক পূর্বাচল দাশগুপ্ত বলেন, আমরা নাট্য উৎসব করছি। ভিন্নস্বাদের নাটক কোচবিহারে নিয়ে এসে মানুষের সঙ্গে সেসবের পরিচয় করিয়ে দেওয়াই প্রধান লক্ষ্য। বাংলাদেশে, দক্ষিণবঙ্গে কি নাটক হচ্ছে বা উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাতেও কি ধরনের নাটক এখন হচ্ছে তা এখানকার মানুষের সামনে আমরা তুলে ধরতে চাই। তাই এমন উদ্যোগ আমাদের।
সংগঠকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, উৎসবের প্রথমদিন অর্থাৎ ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় উদ্বোধন ও স্মরণীকা প্রকাশ অনুষ্ঠান রয়েছে। তারপরেই কোচবিহার থিয়েটার গ্রুপের প্রযোজিত ও পূর্বাচল দাশগুপ্ত নির্দেশিত নাটক ‘বিপন্ন শৈশব’ মঞ্চস্থ হবে। চাইল্ড পর্ণগ্রাফী কিভাবে সোসাল মিডিয়ায় ঢুকে গিয়ে ক্ষতি করছে তা এই নাটকের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। ওই সন্ধ্যাতেই কলকাতার নিউনাস প্রযোজিত ও উৎসব দাস নির্দেশিত ‘দূষণ’ মঞ্চস্থ হবে। জল, বায়ু, পরিবেশই নয় রাজনীতি, শিক্ষা সহ সমাজের আরও নানা ক্ষেত্রে কিভাবে দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে তা এই নাটকের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর সকালে ছন্দ-যতি আবৃত্তি সংস্থার নিবেদনে কলকাতা ধূমকেতু পাপেট থিয়েটারের ‘পুতুল-জাদুর অরূপকথা’ ও ‘বিপন্ন পৃথিবী’ মূকাভিনয় অনুষ্ঠিত হবে। মূকাভিনয় করবে শিশুশিল্পী ঈশানী দত্ত। বিকেলে জলপাইগুড়ির অনামী থিয়েটার সেন্টার প্রযোজিত, শেখর সমাদ্দার রচিত ও প্রলয় ভট্টাচার্য নির্দেশিত নাটক ‘আরও একটি প্রেমের গল্প’। বিশেষভাবে সক্ষম অপ্রাপ্ত বয়স্ক একজন ছেলে কিভাবে তাকে দেখভালের কাজে নিযুক্তর সঙ্গে সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়ে সেই টানাপোড়েনকে তুলে ধরা হবে এই নাটকে। ওই দিন দ্বিতীয় নাটক হাবড়া নাট্য মিলন গোষ্ঠী প্রযোজিত নাটক ‘মৃত্যু সংবাদ’ মঞ্চস্থ হবে। নাটকটির রচয়িতা ও নির্দেশক দিলীপ ঘোষ। একান্নবর্তী পরিবার ভেঙে গিয়ে সমাজ ও জাতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একাকীত্বের দিকে চলে যাচ্ছে, এর থেকে বেরিয়ে আসার উপায়কে নির্ভর করে এই নাটকটি তৈরি করা হয়েছে।
ওই সন্ধ্যাতেই তৃতীয় নাটক রয়েছে বাংলাদেশের। এই নাটকটির নাম ‘কানাই চাঁদের নন্দিনী’। মৈমন সিং গীতিকা অবলম্বনে এটি রচিত। বাংলাদেশের রংপুর নাট্যকেন্দ্র প্রযোজিত ও লিটু সরকার নির্দেশিত এই নাটকটি। তৃতীয় দিনের প্রথম নাটকটির নাম ‘দ্রোহাঙ্গনা’। এই নাটকটির প্রযোজক কোচবিহার থিয়েটার গ্রুপ। বিষয় বন্ধ চা বাগানের নারীপাচার। এরপর মঞ্চস্থ হবে মালবাজারের মাল অ্যাক্টোওয়ালা প্রযোজিত ‘আশ্রয়’। সাম্প্রদায়িতা বিরোধী বার্তা বহন করে তৈরি হয়েছে এই নাটক। উৎসনের শেষ নাটকটি মঞ্চস্থ হবে বাংলাদেশের। নাটকের নাম ‘পুতুলটিকে দেখে রেখো’ বাংলাদেশের মেঠোপথ থিয়েটার প্রযোজিত এই নাটকটি একক অভিনয়ে মঞ্চস্থ হবে। যুদ্ধ বিরোধী বার্তা বহনকারী এই নাটকটিতে কিভাবে এক মহিলা তাঁর পুতুলটিকে রক্ষা করবেন তা মঞ্চে তুলে ধরা হবে।