কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
অর্পিতা বলেন, আমাদের দলে যে গোষ্ঠীকোন্দল শুরু হয়েছিল বিপ্লব মিত্র দলত্যাগের পর সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য আগামী বিধানসভা নির্বাচন। বিপ্লব মিত্রকে গুরুত্ব দেওয়ার মতো আমাদের কোনও সময় নেই। তিনি দলত্যাগের পর বলেছিলেন তৃণমূলকে ধূলিস্যাৎ করে দেবেন। একটা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যকেও তিনি বিজেপিতে নিয়ে যেতে পারেননি। বরং আমরা জেলা পরিষদের বিজেপি সদস্যদের তৃণমূলে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছি। তাই বিপ্লব মিত্রকে নিয়ে আমাদের ভাবার সময় নেই। মুখ্যমন্ত্রী জেলার উন্নয়নের জন্য আসছেন। জেলার মানুষের কথা ভেবে তিনি গঙ্গারামপুরে কর্মসূচি নিয়েছেন।
বিজেপির সংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, কালিয়াগঞ্জে ভোট হচ্ছে। তবে তিনি সেখানে আসছেন না। আসছেন আমাদের জেলায়। তাও জেলায় এতো সভাগৃহ থাকতে সরকারের লক্ষাধিক টাকা খরচ করে তিনি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠান করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই জেলাকে নিয়ে ভয়ে আছেন। পাশাপাশি বালুরঘাটকে নিয়ে বিশেষ আশা তাঁর নেই। তাই তিনি শহরে পা রাখতে পারছেন না।
লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরে এই প্রথম দক্ষিণ দিনাজপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সফরে আসছেন। দল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। এর আগে জেলায় এসে প্রশাসনিক বৈঠকের পাশাপাশি জনসভা করলেও এবার তিনি তা করছেন না। বালুরঘাটকে বাদ দিয়ে গঙ্গারামপুরে বিপ্লব মিত্রের ঘাঁটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাকে ঘিরে এখন জোর চর্চা চলছে। যে বিপ্লব মিত্র দীর্ঘদিন ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন এবার তাঁকে ছাড়াই এলাকায় সভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিষয়টি রাজনৈতিক মহলের নজরে পড়েছে। অনেকেই চর্চা করছেন তাহলে কি বিপ্লববাবুর প্রত্যাবর্তন ঘটতে চলেছে? যদিও অর্পিতার সাফ কথা, বিপ্লব মিত্রকে নিয়ে ভাবার সময় আমাদের নেই। এব্যাপারে কথা বলার জন্য বিপ্লব মিত্রকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি।