কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মালদহে এসে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনা করেছিলেন সুপ্রিমো। তখন তিনি তৎকালীন জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে নতুন করে জেলা কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন। ইংলিশবাজারের বিধায়ক নীহার ঘোষ, পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বাবলা সরকার, কাউন্সিলার সুমালা আগরওয়ালা সহ বেশ কয়েকজনকে কার্যকরী সভাপতি পদে নিয়োগ করেছিলেন স্বয়ং দলনেত্রী।
এরপরে ফের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মালদহে এসে একাধিক জনসভার পাশাপাশি পদযাত্রাও করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন অবশ্য দলের জেলা সভানেত্রী হয়ে গিয়েছেন কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে আসা মৌসম নুর।
বর্তমানে মালদহে তৃণমূলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই। জেলা সভানেত্রী হিসাবে মৌসম, একমাত্র কার্যকরী সভাপতি হিসাবে রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় এবং চেয়ারম্যান হিসাবে প্রাক্তন জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন দায়িত্বে রয়েছেন।
দলের অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে মালদহে তৃণমূল কার্যত বহুভাগে বিভক্ত। দলের নেতা-নেত্রীদের মধ্যে কয়েক যোজন দূরত্ব রয়েছে। তাঁরা একে অপরকে এড়িয়ে চলাই শুধু নয়, সরাসরি তোপও দাগছেন একে অন্যের বিরুদ্ধে। শুধু জেলা স্তরেই নয়, এই দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়েছে ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরেও। গোষ্ঠীকোন্দলে জীর্ণ মালদহ তৃণমূলকে শেষ পর্যন্ত কী দাওয়াই দিয়ে যান মমতা, সেদিকেই নজর সব পক্ষের।
দলনেত্রী সাংগঠনিক বৈঠকে ডাকলে তিনি কী কী জানাবেন তা নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন মৌসম নুর। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রশ্ন শুনে বলেন, একটি বৈঠকে রয়েছি। পরে তিনি আর ফোনই ধরেননি। পরের বার তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ের এক কর্মী বলেন, মৌসম বৈঠক করছেন।
তবে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলবেন কিনা, জানা নেই। যদি আমাকে ডাকা হয় তবে আমার সময়ের অভিজ্ঞতা ও বর্তমান অবস্থা নিয়ে বিশদে দলনেত্রীকে জানাব।
তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার বলেন, এর আগে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। দলের ও সংগঠনের স্বার্থে সেই সব বিষয় আবার তুলে ধরব। পাশাপাশি মমতাদিকে বলব, আপনি সরাসরি মালদহ দেখুন।
ইংলিশবাজারের বিধায়ক ও পুরসভার চেয়ারম্যান নীহার ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মালদহে আসছেন, তাতেই আমরা উচ্ছ্বসিত। তিনি দলীয় কোনও বৈঠক করলে সাংগঠনিক বিষয়ে তাঁর পরামর্শ চাইব।
তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি অম্লান ভাদুড়ি বলেন, দলকে চাঙা করতে ও যুবদের আরও বেশি করে দলে টানতে মুখ্যমন্ত্রীর উপদেশ নেব।
তবে দলের অভ্যন্তরীণ কিছু অভিমান ও অভিযোগও যে সুযোগ পেলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে তারও ইঙ্গিত মিলেছে।
জেলা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মানব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শৃঙ্খলা যে অনেকটাই শিথিল হয়েছে, সম্ভব হলে তা বলবো মুখ্যমন্ত্রীকে। প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ জানাবো না। তবে দল মালদহে যা যা করলে উপকার মিলবে, নেত্রী ডাকলে সেসব কথাই বলব।
কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, দলনেত্রী ডাকলে যাব। যা বলার সরাসরি বলবো। দীর্ঘদিনের নেতা হিসাবে দলের ভালো চাই, যা বহিরাগতদের দিয়ে অসম্ভব।
তবে শেষ পর্যন্ত কোন কোন নেতা ডাক পান, সেদিকেই তাকিয়ে জেলা তৃণমূলের সব গোষ্ঠী।