কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ক্রান্তি সাংগঠনিক সভাপতি মেহবুব আলম ওরফে বুলু বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে কি হয়েছে আমি জানি না। আমি ওই জায়গায় সেদিন ছিলাম না। আমাদের এক সমর্থককে কিছু লোক পঞ্চায়েত অফিসে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছে। আমি এর প্রতিবাদ জানাই।
স্থানীয় যুব কংগ্রেস নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ব্লকের সমস্ত পঞ্চায়েত কর্মীরা বিডিও অফিসে ধর্নায় বসেন। এর ফলে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে পরিষেবা এদিন লাটে ওঠে। আমরা চাই যে নেতা ওই আধিকারিককে মেরেছে তার বিরুদ্ধে পুলিস দ্রুত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।
মালের বিডিও বিমানচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, পঞ্চায়েত আধিকারিক এবং কর্মীরা এদিন আমাকে লিখিতভাবে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন। আমি সেটি মাল থানার ওসি’র কাছে পাঠাব। বৃহস্পতিবারের ঘটনায় যারা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে যাতে পুলিস দ্রুত ব্যবস্থা নেয় সেটা বলা হবে। আমি কর্মীদের কাজে যোগ দিতে বলেছি।
বৃহস্পতিবার ওই তৃণমূল নেতা বকেয়া বিল চাইতে পঞ্চায়েত অফিসে ঢোকেন। এক অধিকারিক তাঁকে জানান, বিলের জন্য প্রধানের কাছে যেতে হবে। অভিযোগ, এরপরই ওই নেতার সঙ্গে ওই আধিকারিকের বচসা শুরু হয়। উত্তেজিত হয়ে ওই নেতা আধিকারিককে ব্যাপক মারধর করেন বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, এরপর তিনি প্রধানের অফিস রুমে গিয়ে প্রধানকে ঘুষি মারেন। এমনকি তাঁর টেবিল, চেয়ার ভেঙে দেন। এরপরেই এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নেতা সহ তাঁর দলবলকে তাড়া করে। গ্রামবাসীরা একজনকে ধরেও ফেলেন। পরে তাকে ক্রান্তি ফাঁড়ির পুলিস আটক করে নিয়ে যায়। সন্ধ্যায় প্রধান ওই নেতার বিরুদ্ধে ক্রান্তি ফাঁড়িতে অভিযোগ জানান। এদিন সকালে ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত কর্মী একযোগে বিডিও অফিসের সামনে ধর্নায় বসেন। তবে তাঁরা ধর্না চলালেও কেউই কিছু বলতে চাননি।
এদিন সকাল থেকেই লাটাগুড়ি, মৌলানি, ক্রান্তি, চাপাডাঙা, চেংমারি, রাজাডাঙা, ডামডিম, ওদলাবাড়ি, রাঙামাটি, তেশিমিলা, বাগরাকোট, কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত স্তরের কর্মীরা ধর্নায় বসেন। ফলে পঞ্চায়েত অফিস খোলা থাকলেও অফিসে কোনও কাজ এদিন হয়নি। দূরদূরান্ত থেকে পঞ্চায়েত অফিসে এসে কাজ না হওয়ায় নিরাশ হয়েই বাসিন্দাদের ফিরে যেতে হয়।