কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
আলিপুরদুয়ারের পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি বলেন, আসন্ন কালীপুজো এবং তার সঙ্গে দীপাবলি উৎসবের সময় গোটা জেলাতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখায় জন্য প্রতিটি থানাতে ইতিমধ্যেই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানো এবং বিক্রি বন্ধ করতে আমাদের কর্মীরা তৎপর রয়েছেন।
নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি এবং ফাটানো রুখতে আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিস প্রশাসন প্রয়োজনীয় সবরকম পদক্ষেপ নিচ্ছে। কেউ বেআইনি এই কাজের সঙ্গে জড়িয়ে গেলে অভিযুক্তকে জরিমানার পাশাপাশি গ্রেপ্তার পর্যন্ত করা হবে। এর জন্য আলিপুরদুয়ার থানার নির্দিষ্ট নম্বরে এবং জেলা পুলিসের ৮০০১১৭২৯৯১ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানানো যাবে। এক্ষেত্রে পুলিস অভিযোগকারীর নাম সম্পূর্ণ গোপন রাখবে।
আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপাবলির রাতে এবং ছটপুজোর রাতে ও ভোরে প্রচুর শব্দবাজি ফাটে। এনিয়ে নিকটবর্তী থানাগুলিতে ফোনও আসে। তাই এবার আগে থেকেই সকলকে সতর্ক করার পাশাপাশি সচেতনও করছে পুলিস প্রশাসন। পুলিস কর্তারা জানিয়েছেন, আলিপুরদুয়ার শহরে এজন্য দীপাবলির রাতে পুলিসের বেশ কয়েকটি ভ্যান ঘুরবে। ওই পুলিস ভ্যানের কর্মীরা নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানো সহ অন্যান্য অপরাধমূলক কাজগুলির উপর নজরদারি চালাবেন। দুর্গাপুজোর সময়েও আলিপুরদুয়ার শহর সহ গোটা জেলার থানাগুলির অধীনে থাকা বিভিন্ন জায়গায় মদ, জুয়ার আসর থেকে পুলিস ধরপাকড় করেছিল। পুলিসের দাবি, কালীপুজোর সময়ে অপরাধের পরিমাণ নিঃসন্দেহে বাড়বে। গোটা জেলাতেই যাতে আইনশৃঙ্খলার কোনও অবনতি না হয় সেজন্য এখন থেকেই তারা তৎপর হয়েছে।
আলিপুরদুয়ার থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোর আগেও পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের ডেকে তাঁরা বৈঠকে বসবেন। সেখানেই এই ব্যাপারে তাঁদেরও জানিয়ে দেওয়া হবে।
আলিপুরদুয়ার থানার আইসি রবীন থাপা বলেন, বিগ বাজেটের কালীপুজো কমিটিগুলি যাতে সুষ্ঠুভাবে কালীপুজোর আয়োজন করে তারজন্য পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের নিয়ে আমরা শীঘ্রই বৈঠক করব। গতবছর কালীপুজোর রাতে আলিপুরদুয়ার শহরের বিভিন্ন দোকানে আমরা হানা দিয়ে প্রচুর নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করেছিলাম। এবার একইভাবে অভিযানে নামব। এজন্য আমরা মাইকিং করব।