প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
মেরিল্যান্ডের বাসিন্দা হিউইট। একটু ফুরসৎ পেলেই সঙ্গী স্যান্ডি ফিশারের হাত ধরে বেড়িয়ে পড়তেন দেশ-বিদেশে। ক্যানসারের মতো মারণ রোগও তাঁকে হার মানাতে পারেনি। ৫৯ বছরের ফিশার মনোবিদ। থাকেন লস এঞ্জেলসে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি তাঁরা উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি গ্রামে আসেন। গ্রামটি ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে অবস্থিত। সেখানে সপ্তাহখানেক ছিলেন হিউইট-ফিশার। একদিন রাতে সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন হিউইট। কিন্তু ওই প্রত্যন্ত গ্রামে কোনও হাসপাতাল ছিল না। পরের দিন হিউইট-ফিশার থিম্পুতে চলে আসেন। ভর্তি হন হাসপাতালে।
প্রথমে কোভিডের তেমন কোনও উপসর্গই ছিল না হিউইটের। সামান্য পেট খারাপ। বমি বমি ভাব। সঙ্গে শ্বাসকষ্ট। তবে তাঁর দেহে অক্সিজেনের মাত্রা কম ছিল। এবং এতটাই কম ছিল যে চিকিৎসকরা ভেবেছিলেন মনিটরের গোলমাল হচ্ছে। গত ৪ মার্চ হিউইটের লালারসের পরীক্ষায় ধরা পড়ে তিনি কোভিড পজিটিভ। সেই থেকেই হাসপাতালে ছিলেন হিউইট। খুব সম্ভবত ভূটানে তিনিই ছিলেন প্রথম কোভিড আক্রান্ত বিদেশি। রাজার নির্দেশে হিউইটের সেবা-যত্নের কোনও ত্রুটি রাখেননি চিকিৎসকরা। কিন্তু তাঁর অবস্থার ক্রমেই অবনতি হতে থাকে। অসুস্থ বাবাকে দেশে ফেরাতে মার্কিন প্রশাসনের দ্বারস্থ হন হিউইটের বড় মেয়ে। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতেই মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের ডেপুটি চিফ মেডিক্যাল অফিসার উইলিয়াম ওয়ালটার্স ফোনিক্স উড়ান সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ১৪ মার্চ হিউইটকে নিয়ে মেরিল্যান্ডের উদ্দেশে উড়ে যায় ভেন্টিলেটর যুক্ত বিমান। ৩০ ঘণ্টার যাত্রা শেষে হিউইটকে সেখানকার এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মার্কিন প্রশাসন সূত্রে খবর, হিউইট এখন অনেকটাই সুস্থ।