বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
এক সপ্তাহে আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। একদিনে প্রায় ১৬ হাজার নতুন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সংক্রমণ যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে উদ্বিগ্ন মার্কিন প্রশাসন। করোনা পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণ আনতে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। তার কো-অর্ডিনেটর দেবরাহ ব্রিক্সের তথ্য অনুযায়ী, নতুন করে যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে ৫৫ শতাংশই নিউ ইয়র্ক ও নিউ ইয়র্ক মেট্রো এলাকার।
এদিকে, ফ্রান্স, স্পেন ও ইরানে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। ফ্রান্সে বৃহস্পতিবার মোট ৩৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ বছরের এক কিশোরীও রয়েছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ হাজার ৬৯৬। পাশাপাশি, প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এই মারণ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সরকারি সূত্রে খবর। স্পেনেও বিগত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৬৯ জন প্রাণ হারানোয় মৃতের সংখ্যা হল ৪ হাজার ৮৫৮ জন। অন্যদিকে, ইরানে শুক্রবার আরও ১৪৪ জনের মৃতু হয়েছে। মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এপর্যন্ত সেদেশে ২ হাজার ৩৭৮ জন প্রাণ হারিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মুখপাত্র এপ্রসঙ্গে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৩ হাজার জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। এর ফলে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩২ হাজার ৩৩২। এদের মধ্যে ২ হাজার ৯০০ জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে, চিকিত্সার পর ১১ হাজারের বেশি আক্রান্ত সুস্থ হয়ে উঠেছে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মুখপাত্র। দেশে সংক্রমণ ঠেকাতে স্কুল, কলেজ, ধর্মীয় স্থান সব বন্ধ রাখা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে শুক্রবারের বিশেষ প্রার্থনাও।
এদিকে, ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও উদ্বেগ যাচ্ছে না সরকারের। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের উত্তরভাগে মারণ ভাইরাস খানিক স্বস্তি দিলেও দক্ষিণভাগে ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ছে। সরকারি হিসেবে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৫৩৯। শুক্রবারই মৃতের সংখ্যায় চীনকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ইতালি। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৮ হাজার ১৬৫তে। অন্যদিকে, আক্রান্তের নিরিখে আমেরিকার পরেই আছে এই দেশ। এছাড়া রোগীদের চিকিত্সা করতে গিয়ে ৩৩ জন চিকিত্সক ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন। চীন ও কিউবার সঙ্গে রাশিয়াও বর্তমান পরিস্থিতিতে ইতালিকে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
চীনেও নতুন করে ৫৫ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এদের মধ্যে ৫৪ জন বিদেশ থেকে এসেছে এবং একজন স্থানীয়। এছাড়া, বৃহস্পতিবার হুবেই প্রদেশে আরও পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ হাজার ২৯২। মোট আক্রান্ত ৮১ হাজার ৩৪০। বিদেশে থাকা চীনের নাগরিকরা দেশে ফেরা শুরু করতেই আক্রান্তের সংখ্যা ফের বাড়তে থাকায় নড়েচড়ে বসেছে সেদেশের সরকার। অস্থায়ীভাবে বিদেশিদের ভিসা বাতিল করার পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
অপরদিকে, করোনা আতঙ্কে দু’সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে হাঙ্গেরি। সেদেশে এখনও ৩০০ জন প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।