বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, করোনা আক্রান্ত এলাকাগুলির মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি হুবেই প্রদেশের। সোমবার করোনার এই উৎসস্থলে মৃত্যু হয়েছে ৯১ জনের। পাশাপাশি, আনহুইয়ে দু’জন এবং হেইলংজিয়াং, জিয়াংজি, হাইনান ও গানসুতে একজন করে মারা গিয়েছেন। আরও জানানো হয়েছে, রবিবার ৯৭ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি ৩ হাজার ৬২ জন নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আরও ৪ হাজার ৮ জনের নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও সুস্থ হয়ে যাওয়ায় ৩ হাজার ২৮১ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। চীনের বিদেশ দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত ২৭ জন বিদেশির মধ্যে শনিবার দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন মার্কিন মহিলা এবং অপর ব্যক্তি জাপানের বাসিন্দা। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুই বিদেশির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছে বেজিং। আক্রান্ত বিদেশিদের জন্য উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে চীন সরকার।
সূত্রের খবর, যে গতিতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তার মোকাবিলায় চীনকে সাহায্যের প্রস্তাব দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগজনক, তা খতিয়ে দেখতে গতমাসেই চীনে আসেন হু’র ডিরেক্টর জেনারেল। চীন সরকারের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনার পর তিনি জানান, বিভিন্ন দেশের সদস্য নিয়ে গঠিত হু’র বিশেষ দলকে সেদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছে বেজিং।
এদিকে, করোনা আতঙ্কের প্রভাব পড়েছে চীনের বাজারেও। আমদানি ব্যাহত হওয়ায় বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। আট বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ। অপরদিকে, নববর্ষের ছুটি কাটিয়ে বেজিং সহ চীনের অন্যান্য শহরগুলিতে ফিরছে মানুষজন। চীনা নববর্ষ উপলক্ষে গত ২৪ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছিল সেদেশের প্রশাসন। করোনা মোকাবিলায় সেই ছুটি বাড়িয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি করা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রকোপে রাশ টানা সম্ভব না হওয়ায় অফিসগুলির তরফে কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার কথা বলা হয়েছে।