নয়াদিল্লি (পিটিআই): পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের বিভ্রান্তিকর মামলায় ফের সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে রামদেব ও তাঁর সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণ। মঙ্গলবার আদালত জানতে চেয়েছে, পণ্যের প্রচারের জন্য যে মাপের বিজ্ঞাপন দেওয়া হত, ক্ষমা চেয়ে তত বড় বিজ্ঞাপনই কি সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে? পাশাপাশি, এফএমসিজি (ফাস্ট-মুভিং কনজিউমার গুডস) সংস্থাগুলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনগুলির বিষয়েও মঙ্গলবার কড়া মনোভাব নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই ধরনের বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তিনটি মন্ত্রকের (উপভোক্তা বিষয়ক, তথ্য ও সম্প্রচার এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক) কাছে। জনসাধারণের স্বাস্থ্যের প্রতি বিরূপ ফেলে, এমন পণ্যের প্রচারের বিরুদ্ধে গত তিন বছরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের ভূমিকার ব্যাখ্যা তলব করেছে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি, এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-এর ভূমিকাও। আইএমএ-র তরফে পতঞ্জলির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে পাল্টা প্রশ্নের মুখে পড়েছে আইএমএ’র ভূমিকাও। আদালতের যুক্তি, এই সংগঠনের ডাক্তাররা অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার জন্য সুপারিশ করেছেন। তাহলে, আইএমএ তার দায় এড়ায় কীভাবে। তাই তাদেরও এই বিষয়ে জবাবদিহি দিতে হবে।
রামদেব ও বালাকৃষ্ণর হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন সিনিয়র আইনজীবী মুকুল রোহাতগি। বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি এহসানউদ্দিন আমানুল্লার বেঞ্চকে তিনি জানান, তাঁর মক্কেলরা আদালতে নতুন করে হলফনামা জমা দিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। সোমবার দেশের ৬৭টি সংবাদপত্রে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁরা সংবাদপত্রে অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন দিতেও রাজি আছেন। এরপরই বিচারপতি হিমা কোহলি জানতে চান, চোখে পড়ে, এমন স্পষ্টভাবেই সংবাদপত্রে ক্ষমাপত্র প্রকাশিত হয়েছে কি? পণ্যের বিজ্ঞাপনের মতো একই ফন্ট ব্যবহার করে, একই আকারে তা ছাপা হয়েছে কি? মুকুল রোহাতগি জানান, ক্ষমা প্রার্থনা করে বিজ্ঞাপন ছাপানোর জন্য ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। তখন সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ওসব নিয়ে আদালত ভাবিত নয়। ক্ষমা প্রার্থনার বিজ্ঞাপন যথাযথভাবে যাতে প্রকাশিত হয়, আদালত তাই দেখতে চায়। আদালত জানিয়েছে, এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ এপ্রিল।