কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৮টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে তফশিলি জাতি অধ্যুষিত দুই কেন্দ্রে প্রাধান্য রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। মহাদেবাপুরা এবং সি ভি রমন নগর কেন্দ্রের মানুষ বরাবরই বিজেপির পাশে থেকেছেন। দুই কেন্দ্রে তফশিলি জাতির মানুষ রয়েছেন প্রায় ১৪ শতাংশ করে। তবে শিবাজিনগর, সর্বজ্ঞনগর, শান্তিনগর এবং চামরাজপেট বিধানসভা এলাকায় একছত্র আধিপত্য বজায় রেখেছে কংগ্রেস। সেখানে তাঁদের এই সফলতার পিছনে কাজ করেছে মুসলিম ভোটের অঙ্ক।
তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র বেঙ্গালুরুর মূল সমস্যা পানীয় জল। চলতি বছরে গোটা রাজ্যে পানীয় জলের জন্য হাহাকার পড়ে যায়। যা প্রকট আকার নেয় বেঙ্গালুরুতে । গত ৪০ বছরে এঘটনা দেখা যায়নি বলেই জানান কর্ণাটকের উপ মু্খ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। তারপরই জলসমস্যা দূরীকরণে একাধিক কড়া পদক্ষেপ নেয় কংগ্রেস সরকার। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী মোদি কর্ণাটকে এসে জল সমস্যা নিয়ে কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, সিদ্ধারামাইয়া সরকারের অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তের জন্যই তথ্যপ্রযুক্তি শহর আজ ট্যাঙ্কারের শহরে পরিণত হয়েছে। তবে কংগ্রেস সরকারও বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, করের টাকা নিলেও বকেয়া নিয়ে রাজ্যের প্রতি অবিচার করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।
অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এসেছে। এক জনসভায় বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল কেন্দ্রের পদ্মপ্রার্থী পি সি মোহকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান একদল বিজেপি সমর্থক। দীর্ঘদিনের সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও জনস্বার্থে তিনি কী অবদান রেখেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। শান্তিনগরের এই ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে গেরুয়া শিবির। তবে লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই কোমর বেঁধে নামছে বিজেপি-কংগ্রেস দু’পক্ষ। হিসেব বলছে, মুসলিম অধ্যুষিত ৪টি বিধানসভা এলাকা থেকে বিজেপিকে চাপে রাখতে পারলে অনেক হিসেব উল্টে দিতে পারেন রাজনীতিতে নবাগত মনসুর আলি খান। সেটিকেই এখন ‘পাখির চোখ’ করে এগতে চাইছে হাতশিবির।