কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
আগামী কাল, বুধবার সন্ধ্যায় শহরে আসছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার নেতৃত্বাধীন ফুল বেঞ্চ। তার আগে প্রস্তুতি আলোচনা শুরু করলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। সোমবার তিনি রাজ্যের সব জেলাশাসকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন। হাজির ছিলেন কমিশনের অন্য কর্তারা। আগামী বৃহস্পতিবার জেলাশাসক-পুলিস সুপার-পুলিস কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। সেদিন প্রস্তুত হয়ে আসার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দেন আরিজ আফতাব। আইনশৃঙ্খলা, বুথের পরিকাঠামো সহ ভোটের প্রস্তুতি সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট তৈরি করতেও বলা হয়েছে। কত সংখ্যক জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করা বাকি, কত অস্ত্রশস্ত্র বা বোমা উদ্ধার হয়েছে, কিংবা ভোটে গোলমাল পাকাতে পারে এমন ব্যক্তির তালিকা তৈরি করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না, তাও জানতে চেয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।
মধ্য কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে থাকবে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। দু’দিন ধরে সেখানেই সব উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হবে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের অফিসাররা এদিন ওই হোটেলে গিয়ে যাবতীয় ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি, ফুল বেঞ্চের সফর নিয়ে কলকাতা পুলিসের যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিনহা সরকারের সঙ্গেও বৈঠক করেন আরিজ আফতাব। পরে তিনি এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ডিজি গঙ্গেশ্বর সিংয়ের সঙ্গেও আলোচনা করেন। এর অবশ্য মূল কারণ, এবারের ভোটে টাকা খরচের বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কমিশন। ইতিমধ্যে কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রকে এব্যাপারে স্পর্শকাতর কেন্দ্র বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোটে কালো টাকা ব্যবহারের উপর বিশেষ নজরদারি চালানো হবে। ফলে রাজ্যের কমিশন কর্তারা এবার খুবই সতর্ক। কোনও অভিযোগ যাতে না ওঠে তাই দিল্লির নির্দেশমতো সবক’টি নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে সতর্ক করা হয়েছে। এদিকে, সম্প্রতি একটি ভিডিও কনফারেন্সকে কেন্দ্র করে সুদীপ জৈনের রোষে পড়েন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের এক কর্তা। উত্তরবঙ্গের এক অফিসারের কাছে একটি বিষয়ের ব্যাখ্যা চাইছিলেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার। হঠাৎ সেই কথোপকথনে ছেদ পড়ে। অফিসারের কথা শুনতে পাচ্ছিলেন না সুদীপ জৈন। কমিশন কর্তারা সেটি নেটওয়ার্ক প্রবলেম বলে চালাতে চেষ্টা করলেও ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার তাতে আমল দিতে চাননি। বিরক্ত হয়ে স্বয়ং নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে এব্যাপারে কৈফিয়ত চান তিনি। কমিশন সূত্রে খবর, সন্তোষজনক উত্তর না পেয়ে ভীষণ বিরক্ত হন জৈন। ঠারেঠোরে তিনি বুঝিয়ে দেন, রাজ্য কমিশন অফিসের এই গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না।
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে এক কমিশন কর্তা রাজ্যের হয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ ওঠে। তাকে সরানোর জন্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের ঘরে ধর্নাও দিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। তাই এবার নির্বাচনী আধিকারিকদের কমিশনের তোপের মুখে পড়ার ঘটনাকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কোন পক্ষপাতের অভিযোগ যেন না ওঠে, সেটাই স্পষ্ট করতে চাইছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তাই সতর্ক মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর।