শারীরিক দিক থেকে খুব ভালো যাবে না। মনে একটা অজানা আশঙ্কার ভাব থাকবে। আর্থিক দিকটি ... বিশদ
প্রথম দফায় তিন কোটি কোভিড-যোদ্ধাকে টিকা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি পুলিস, সেনা, আধা সামরিক বাহিনী, পুরসভার সাফাই কর্মচারিরা তা পাবেন। এদের মধ্যে অনেকে গোড়াতেই ভ্যাকসিন নিতে চাইছেন না। কলকাতা তো বটেই, এমনকী দিল্লির এইমস, রাম মনোহর লোহিয়া, এলএনজিপির মতো সরকারি স্বাস্থ্যপ্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিকিৎসক, নার্সদের একাংশ বলছেন, ‘সুস্থ আছি। ভ্যাকসিনের প্রয়োজন নেই। অন্যরা নিক। কী হয় দেখে তবে ভাবব।’ ট্রায়াল শেষ না হওয়া কোভ্যাকসিন নিয়েও সন্দেহ অনেকের। দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্য থেকেই এ ধরনের অনীহার খবর স্বাস্থ্যমন্ত্রকে এসে পৌঁছেছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, টিকাকরণ কর্মসূচিতে কোনও ব্যক্তিই নিজের ইচ্ছামতো নির্দিষ্ট সংস্থার ভ্যাকসিন বেছে নিতে পারবেন না। রাজ্যগুলিও নির্দিষ্ট কোনও কোম্পানির ভ্যাকসিন পাবে না। কেন্দ্রের কোভিড মোকাবিলা কমিটির চেয়ারম্যান ডাঃ বিনোদ কুমার পল বলেছেন, ‘সামান্য জ্বর, ব্যথা হলেও দু’টি ভ্যাকসিনেরই তেমন কোনও বিপদজনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।’
এই পরিস্থিতিতে বাংলার স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর মিলেছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, ভ্যাকসিন অ্যাডভার্স এফেক্ট রিপোর্টিং নথিভুক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে দেশের ন’টি বড় রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে বাংলা। বিজেপি ও এনডিএ শাসিত গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এবং কংগ্রেস শাসিত মহারাষ্ট্র-রাজস্থানকে পিছনে ফেলে এব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ সর্বোচ্চ (৬৯) নম্বর পেয়েছে। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন ডিরেক্টর ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব বন্দনা গুরনানি চিঠি লিখে এ রাজ্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।