শারীরিক দিক থেকে খুব ভালো যাবে না। মনে একটা অজানা আশঙ্কার ভাব থাকবে। আর্থিক দিকটি ... বিশদ
পরিবহণ দপ্তরকে লেখা চিঠিতে ঠিক কী বলেছে অন্বেষ? ‘আমার বাড়ির সামনে দিয়ে যে সময় বাস যায়, তাতে চেপে স্কুলে যেতে রোজ দেরি হয়। এ জন্য অনেক অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। শিক্ষকদের কাছে বকুনি খেতে হচ্ছে। যদি বাসের সময় এগিয়ে আনা যায়, তা হলে অন্তত বকুনি খাওয়ার হাত থেকে রেহাই মিলতে পারে।’ অন্বেষের এই চিঠি পড়ে মন গলে পরিবহণ কর্তার। দ্রুত ওই পড়ুয়াকে সোশ্যাল মিডিয়াতেই পাল্টা চিঠি লিখে তিনি জানিয়ে দেন, তার আর্জি মেনেই বদলানো হচ্ছে বাসের সময়। ফলে এখন থেকে আর স্কুলে পৌঁছতে তার দেরি হবে না। সাহস করে একরত্তি ছেলে যে পরিবহণ কর্তাদের চিঠি লিখেছে, তার জন্য প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। পাশাপাশি পরিবহণ দপ্তরের ভূমিকারও তারিফ করেছেন তাঁরা।
ভূবনেশ্বরে একটি বেসরকারি স্কুলের ছাত্র অন্বেষ। স্কুলে যাওয়ার বাসের সমস্যার কথা জানিয়ে সম্প্রতি সে ‘ক্যাপিটাল রিজিয়ন আরবান ট্রান্সপোর্ট ভূবনেশ্বর’কে ট্যুইট করে। ওই ট্যুইট ট্যাগ করে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর অরুণ বোথরাকে। সেখানে অন্বেষের অভিযোগ, ‘আমার স্কুলে ঢোকার সময় সকাল সাড়ে সাতটা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে লিঙ্গিপুর থেকে ১৩ নম্বর রুটের প্রথম বাসটিই যায় সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে। তাও সবদিন সময়ে আসে না। স্বাভাবিকভাবেই স্কুলে পৌঁছতে দেরি হয়ে যায়। আমার সমস্যাটা বুঝে যদি বাসের সময় এগিয়ে আনা যায়, তাহলে উপকৃত হব।’ ওই ট্যুইট চোখে পড়তেই সমস্যা সমাধানে তড়িঘড়ি উদ্যোগী হন পরিবহণ কর্তারা। অন্বেষের উদ্দেশে পাল্টা ট্যুইট করেন বোথরা। তিনি জানান, আগামী সোমবার থেকে সংশ্লিষ্ট রুটে দিনের প্রথম বাস লিঙ্গিপুরে আসবে সকাল সাতটায়। ফলে আর তাকে দেরি করে স্কুলে পৌঁছতে হবে না। তাঁর এই উদ্যোগে খুশি অন্বেষ ও তার পরিবার।