শারীরিক দিক থেকে খুব ভালো যাবে না। মনে একটা অজানা আশঙ্কার ভাব থাকবে। আর্থিক দিকটি ... বিশদ
গত নভেম্বরের পর এই দ্বিতীয়বার পাকিস্তান সীমান্তে গোপন সুড়ঙ্গের হদিশ মিলল। অর্থাৎ, গত ছ’মাসে তিনটি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাক সেনা প্রশিক্ষিত জঙ্গিদের ভারতে ঢোকাতেই ওই সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়েছে। যদিও এবার যে সুড়ঙ্গটির খোঁজ মিলেছে তার উৎস কোথায়, সে সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি সেনাকর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, সীমান্তে আঁটসাঁট নিরাপত্তার কারণে জঙ্গি অনুপ্রবেশে ব্যর্থ হয়েই পাকিস্তান সুড়ঙ্গপথে সন্ত্রাসবাদীদের ঢোকানোর চেষ্টা করছে। জামওয়াল বলেছেন, এদিন যেখানে সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, তার ঠিক উল্টোদিকে জঙ্গি অধ্যুষিত পাকিস্তানের শাকেরগড়। সুড়ঙ্গের মুখ থেকে বালি ভর্তি বস্তা পাওয়া গিয়েছে। সেগুলির গায়ে ২০১৬-১৭ লেখা ছিল। আর দেখেই সেনাবাহিনীর অনুমান, এটি বহু পুরনো সুড়ঙ্গ। আন্তর্জাতিক সীমান্তে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে পাকিস্তানের জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার উপত্যকার বিভিন্ন সীমান্তে সুড়ঙ্গের হদিশ মিলেছে। বরাবরই পাকিস্তান জঙ্গি অনুপ্রবেশ ও অস্ত্রপাচারে নানারকম ফন্দিফিকির খুঁজতে মরিয়া।
সম্প্রতি নাগরোটা এনকাউন্টারের পর সুড়ঙ্গ দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের খবর পায় বিএসএফ। গত আগস্টেও কাশ্মীরের গালার গ্রামে ১৭০ মিটার লম্বা, ২০-২৫ ফুট গভীর সুড়ঙ্গের হদিশ পাওয়া যায়। ওই সুড়ঙ্গের একটি মুখ ছিল কাশ্মীরের দিকে, অন্য মুখটি পাকিস্তানের দিকে। শুধু তাই নয়, ২০১৪ সালেও কাশ্মীরের চানিয়ারিতে আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে বড়সড় সুড়ঙ্গের হদিশ মেলে। কয়েকমাস আগে কাশ্মীরের সাম্বা সেক্টরেও ২০ ফুট দীর্ঘ, ৩-৪ ফুট চওড়া সুড়ঙ্গের খোঁজ পাওয়া যায়। ওই সুড়ঙ্গের উৎসটিও ছিল সীমান্তের ওপারে, পাকিস্তান ভূখণ্ডে। সাম্বার বাসান্তার এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে ভারতীয় ভূখণ্ডে ওই সুড়ঙ্গটি খোঁড়া হয়েছিল। এদিন যে সুড়ঙ্গটির খোঁজ মিলেছে, সেটি দিয়ে ইতিমধ্যেই জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটেছে কি না, তার খোঁজখবর চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। একইসঙ্গে উপত্যকার কোথাও পাকিস্তানি জঙ্গিরা ঘাপটি মেরে রয়েছে কি না, তা জানতে পুলিস ও সেনার তরফে জোর তল্লাশি শুরু হয়েছে। সেনা সূত্রের খবর, ২০২০ সালে সীমান্তে ৯৩০ বার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। আগের বছরের তুলনায় ৫৪ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি পাকিস্তান জঙ্গি অনুপ্রবেশ বাড়িয়েছে অন্তত ২২ শতাংশ।
অন্যদিকে, জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তোইবার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শ্রীনগর থেকে মুজফ্ফর জান ও আব্বাস সফি নজরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই দু’জনের প্রধান কাজ ছিল জঙ্গিদের হাতে অস্ত্র পৌঁছে দেওয়া, আস্তানা জোগাড় ও বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ খবর দেওয়া। ধৃত দুই জঙ্গি সহযোগীর থেকে অস্ত্র, বিস্ফোরক ও প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি, সাইবার প্রতারণার অভিযোগে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিস অভিযান চালিয়ে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। শ্রীনগরের বিভিন্ন কল সেন্টার থেকে তাদের পাকড়াও করা হয়। কাশ্মীর পুলিসের আইজি বিজয় কুমার বলেছেন, সাইবার প্রতারণা এবং কম্পিউটার হ্যাক করে তথ্য চুরির অভিযোগে কাশ্মীর জোনের সাইবার থানায় একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। তারই ভিত্তিতে পুলিস অভিযান চালিয়ে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ছবি: পিটিআই