বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ
কোভিডের আগ্রাসন থেমে নেই। লকডাউন কবে উঠবে তার নেই ঠিক। বাড়ির পরিচারিকাও কবে বাড়িমুখো হবেন কে জানে! তার চেয়ে বরং যন্ত্র-গুণে সংসার হোক সুখের। এটাই এখন বড় বাসনা আম-মধ্যবিত্তের। আর সেই বাসনাতেই গৃহস্থালী পণ্যের তালিকায় পাকা জায়গা করে নিচ্ছে ‘ডিসওয়াশার মেশিন’ কিংবা ‘ভ্যাকুয়াম ক্লিনার’। রাতারাতি মহার্ঘ্য হয়ে উঠেছে এই দু’টি সাংসারিক যন্ত্র। ব্যবসাও বাড়ছে হু হু করে।
দীর্ঘ দু’মাস পর খানিক শিথিল হয়েছে লকডাউন। দেশের সর্বত্র অল্প অল্প করে খুলছে দোকান-পাট। কোভিডের প্রকোপ বাড়লে ফের পূর্ণ লকডাউনের আশঙ্কাও অমূলক নয়। তাই এই সুযোগেই সংসারকে যতটা সম্ভব মেশিন নির্ভর করে তুলতে চেষ্টার কসুর করছেন না বেঙ্গালুরুর সন্ধ্যা, আমন কিংবা কর্ণাটকের রাজাজিনগরের সৌম্যরা। চেষ্টা কি শুধু সন্ধ্যা, সৌম্যদেরই? সংসারে একটু সুখের সন্ধানে দোকানে দোকানে লাইন লাগিয়েছে প্রায় প্রতিটি মধ্যবিত্ত পরিবারই। সে বেঙ্গালুরুই হোক অথবা দিল্লি, চেন্নাই, মুম্বই মায় কলকাতা। লকডাউন শিথিল হওয়ার ক’দিনের মধ্যেই আমেরিকায় জন্ম ডিশওয়াশারে চাহিদা এক লাফে বেড়ে গিয়েছে ৭০-৮০ শতাংশ। ভ্যাকুয়াম ক্লিনারেরও চাহিদাও খুব একটা কম বাড়েনি।
বেঙ্গালুরুর হনুমন্তনগরের পঙ্কজ ইলেকট্রিনিক্সের কর্ণধার শচীন চোপড়া বলছিলেন, ‘দোকানে এসে অসহায় মুখে গ্রাহকদের একটাই জিজ্ঞাসা- দাদা, ডিশওয়াশার রয়েছে নাকি? বিশ্বাস করবেন না, মাত্র ক’দিনেই ৭০ শতাংশ চাহিদা বেড়ে গিয়েছে এই গৃহস্থালী পণ্যের।’ জয়ানগরের পাই ইন্টারন্যাশনাল ইলেকট্রনিক্সের স্টোর ম্যানেজার কুমার বি’র কথায়, ‘আমরা দিনে ৫-৬টি ডিশওয়াশার মেশিন বিক্রি করছি। চাহিদার সঙ্গে যোগানের তাল মেলাতে পারছি না। গ্রাহকদের পছন্দ মাফিক অর্ডার নেওয়া শুরু করেছি।’
কী বলছেন ক্রেতারা? বেঙ্গালুরু শহরের গৃহবধূ সন্ধ্যা মাখিজা। লকডাউন পিরিয়ডে বাড়িতে থালাবাসন, প্লেট পরিস্কার করতে করতে হাঁফিয়ে উঠছিলেন তিনি। শহরে দোকান খুলতেই স্বামী আমনকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে কিনে ফেলেন ডিশওয়াশার মেশিন। সন্ধ্যা বলছিলেন, ‘সত্যি বলতে কী আর পেরে উঠছিলাম না। এবার একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচব।’ রাজাজিনগরের গৃহস্থ সৌম্য আরের কথায়, ‘আমাদের আবাসনে পরিচারিকাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। বাড়ির কাজ করতে নিত্যদিন অশান্তি লেগেই থাকত। এবার ডিশওয়াশার কিনে একটু স্বস্তি পেলাম। অনেকে এই পণ্যের পাশাপাশি ভ্যাকুয়াম ক্লিনারও কিনছেন।’