বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
এরই মধ্যে আজ উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের এমএমজি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা তবলিগ-ই-জামাতের একঝাঁক করোনা আক্রান্তের চরম দুর্ব্যবহারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আজ ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী এই রোগীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই আইনে এক বছর পর্যন্ত বিনা জামিনে আটকে রাখা যায়। এই রোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা এমএমজি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্সদের বিরুদ্ধে অভব্য ইঙ্গিত করেছে, সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে ওয়ার্ডের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। এমনকী যত্রতত্র থুতুও ফেলছে। যা এই করোনা সঙ্কটের সময় মারাত্মক বিপজ্জনক। যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, ‘এরা মানবসমাজের লজ্জা। তাই সুস্থ হলেও এদের জেলেই যেতে হবে।’ পাশাপাশি তবলিগের ৯৬০ জন বিদেশি সদস্যের ভিসা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। করা হয়েছে কালো তালিকভুক্ত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রককে। প্রতিটি রাজ্য পুলিশের ডিজিকেও পাঠানো হয়েছে তালিকা। যাতে এদের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে আটক করা হয়। কালো তালিকভুক্ত করার অর্থ, এই ৯৬০ জন আগামীদিনে ভারতের আসার ভিসা পাবেন না এবং প্রত্যেককে তাদের দেশে পুশব্যাক করা হবে।
তবলিগ-ই-জামাতের সংস্পর্শে আসা ৯ হাজার মানুষকে ইতিমধ্যেই কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। বস্তুত, ভারতের করোনা সংক্রমণের প্রবণতা নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই ছিল। কিন্তু তবলিগের সামাবেশের পর আচমকা বিগত ৭২ ঘণ্টায় লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে সংখ্যা। কারণ এদের সংস্পর্শে আসা মানুষের পরীক্ষা করলেই দেখা যাচ্ছে করোনা পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে।
বিভিন্ন দেশে করোনার সংক্রমণ প্রবল আকার নিতে শুরু করেছে, তখনই কেন তবলিগ ভারতে হাজার হাজার সদস্য নিয়ে একের পর এক সমাবেশ আয়োজন করল, সেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। দিল্লি ছাড়াও মার্চেই মুম্বইয়ের ভাসিতে তাদের সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। ৬ ফেব্রুয়ারি মহারাষ্ট্র সরকার ওই সমাবেশের এই অনুমতি দিলেও, ৬ মার্চ তা বাতিল করে দেওয়া হয়। করোনা ভাইরাসের দু’টি কেস মুম্বইতে ধরা পড়তেই ওই অনুমতি বাতিল হয়। কিন্তু দিল্লিতে কেন হল? দিল্লিতে কতদিন আগে থেকে জমায়েত চলছিল? সমাবেশে ধর্মীয় প্রচারের পাশাপাশি অন্য কী প্রচার হয়েছে এখন সেটাই জানতে চায় গোয়েন্দারা। তাই চলছে ওই সমাবেশে বিলি হওয়া প্যামফ্লেট আর পুস্তিকার সন্ধান।