বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
কী ছিল সেই নির্দেশিকায়? বলা হয়েছিল, প্রত্যেক স্বাস্থ্যকর্মীকে বছরে ৫-১০ জন পুরুষের নির্বীজকরণ করাতে হবে। আগামী মাসের মধ্যে অন্তত একজনের নির্বীজকরণ করাতে না পারলে শাস্তির খাড়া নেমে আসবে ওই কর্মীর উপর। তাঁর বেতন কাটা হতে পারে। এমনকী, তাঁর চাকরিও চলে যেতে পারে। এই নির্দেশিকাটি মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য কর্মসূচির আওতায় পরিবার পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত পরিকল্পনার অধীনে জারি করা হয়েছিল। জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষা – ৪ অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশে নির্বীজকরণে আগ্রহী পুরুষদের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। সেই সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে রাজ্য সরকারের ন্যাশনাল হেল্থ মিশন ডিরেক্টর এই ফরমান জারি করেছিলেন।
এই নির্দেশিকা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তুলসী সিলাওয়াত। তিনি বলেন, কাউকে জোর করে নির্বীজকরণ করা হবে না। কারও চাকরি যাবে না। আমরা শুধু সচেতনতা প্রচার করার চেষ্টা করছিলাম। পাশাপাশি স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আসতেই নির্দেশিকাটি বাতিল করা হয়েছে। নির্দেশিকা প্রত্যাহার করা হলেও, এই ইস্যুতে কংগ্রেস সরকারকে চেপে ধরতে চাইছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র রজনীশ আগরওয়াল বলেন, আমার মনে হয় জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে। এভাবে কি জোর করে নির্বীজকরণ করা যায়? স্বাস্থ্যকর্মীরা হেনস্তার মুখে পড়বেন! এই ধরনের পদক্ষেপ অত্যন্ত অসম্মানজনক।
বিতর্কিত ওই নির্দেশিকাটিতে সই করেছিলেন ন্যাশনাল হেল্থ কমিশনের ডিরেক্টর ছবি ভরদ্বাজ। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য প্রশাসন। যদিও কোনওরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা অস্বীকার করেছেন ছবি ভরদ্বাজ। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রত্যেক বছর বিভিন্ন স্বাস্থ্য কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত থাকা কর্মীদের কাজের পর্যালোচনা করা হয়। পরিবার পরিকল্পনা কখনই লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে হয় না বা করা যায় না। কর্মীদের এই নিয়ে মানুষকে বোঝাতে, শিক্ষিত করতে এবং সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে বলা হয়েছিল। তাঁদের কোনও লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া বা কোনও শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়নি।