ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য মণিপুরের বনমন্ত্রী টি শ্যামকুমারের বহিষ্কারের দাবি তুলেছে কংগ্রেস। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি আর এফ নরিম্যানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সংসদকে এই পরামর্শ দেয়। জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আন্দ্রো আসনে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী শ্যামকুমার। ৬০ সদস্যের বিধানসভায় ২৮টি আসনে জয়ী হয় কংগ্রেস। কিন্তু ‘ম্যাজিক ফিগার’ (৩০) অধরাই রয়ে যায়। অন্যদিকে, ২১টি আসনে জয় পান বিজেপি প্রার্থীরা। সরকার গড়তে অন্য দলগুলির সঙ্গে জোট করে গেরুয়া শিবির। হাতে আসে মোট ২৯ জন বিধায়কের সমর্থন। এরপরেই সরকার গড়ার লক্ষ্যে কংগ্রেস বিধায়ক শ্যামকুমারকে নিজেদের দিকে টেনে নেয় বিজেপি। জোট সরকারে বনমন্ত্রীর পদও পান তিনি। কিন্তু বিধায়ক পদ না ছাড়ায় তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয় কংগ্রেস। দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ এনে শ্যামকুমারকে বহিষ্কারের প্রস্তাব আনেন কংগ্রেসের দুই বিধায়ক— ফজুর রহিম এবং কে মেঘচন্দ্র। আবেদনের পর বেশ কিছুটা সময় কাটলেও বিষয়টি ঝুলে থাকায় আদালতের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। এদিন সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি আর এফ নরিম্যানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, মণিপুর বিধানসভার স্পিকারকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলে দুই কংগ্রেস বিধায়ক ফজুর রহিম এবং কে মেঘচন্দ্র ফের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন। আদালত আরও জানায়, একজন স্পিকার কোনও বিধায়ক বা সাংসদকে বহিষ্কার করতে পারেন কি না, তা সংসদের ভেবে দেখা উচিত। কারণ স্পিকার নিজেও একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য।
সাংসদ বা বিধায়ককে বহিষ্কারের ক্ষেত্রে স্পিকারের ভূমিকা কতটা নিরপেক্ষ, তা নিয়ে বিতর্ক অবশ্য নতুন কিছু নয়। গত বছর দলবিরোধী আইনে কর্ণাটকের ১৭ জন বিদ্রোহী কংগ্রেস-জেডি(এস) বিধায়ক পদত্যাগ করার পরেই তাঁদের বহিষ্কার করেন তৎকালীন স্পিকার কে আর রমেশকুমার। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন বিদ্রোহী বিধায়করা। স্পিকারের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। শুনানির পর স্পিকারের রায় বহাল রাখলেও বহিষ্কৃত বিধায়কদের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেয় আদালত।