উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
নির্ভয়া মামলায় দোষী মুকেশ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়েছে। পাশাপাশি, মৃত্যুদণ্ডের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এদিন দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মুকেশের আইনজীবী। যদিও, বিচারপতি মনমোহন ও বিচারপতি সঙ্গীতা ধিংগ্রা সেহগাল সেই আবেদন খারিজ করে দেন। তবে, দায়রা আদালতে যাওয়ার রাস্তা খোলা রাখা হয়েছে মুকেশের জন্য।
এদিকে, বুধবার হাইকোর্টে দিল্লি সরকার ও তিহার জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হওয়ার পরেই ফাঁসি কার্যকর করা সম্ভব। সরকারি আইনজীবী ফাঁসি পিছিয়ে যাওয়ার কথা জানানোর পর অসন্তোষ প্রকাশ করে দুই বিচারপতির বেঞ্চ। ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত জানায়, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে বিচার ব্যবস্থার উপর থেকে মানুষের বিশ্বাস হারিয়ে যাবে। গোটা প্রক্রিয়া একেবারেই ঠিক দিকে এগোচ্ছে না। এক্ষেত্রেও কৌশলে বিচারব্যবস্থাকে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এরপর শুনানিতে দিল্লি সরকারের আইনজীবী রাহুল মেহেরা জানান, দোষীদের মধ্যে একজন প্রাণভিক্ষার আর্জি জানানোয় বাকিদেরও ফাঁসি কার্যকর করা সম্ভব নয়। পাল্টা বিচারপতিরা বলেন, ‘দোষীদের সকলেই যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রাণভিক্ষার আবেদন জানাচ্ছে, ততক্ষণ তাদের ফাঁসি দেওয়া যাবে না। তার মানে তো আইনেই গলদ রয়েছে।’ পাশাপাশি, গোটা প্রক্রিয়া ‘ক্যান্সারে আক্রান্ত’ হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন বিচারপতি মনমোহন ও বিচারপতি সঙ্গীতা ধিংগ্রা সেহগাল। এরপরই, রাহুল মেহেরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, দোষীরা আইনি ব্যবস্থাকে হতাশ করে তুলেছে। শাস্তি কার্যকর করার ক্ষেত্রে দেরি করানোর উদ্দেশ্যেই তারা কিউরেটিভ পিটিশন এবং প্রাণভিক্ষার আর্জি জানাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ২২ জানুয়ারির আগে বা পরে প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ হলেও ফের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করতে নিম্ন আদালতে আবেদন জানাতে হবে।
অপরদিকে, মুকেশের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করার সুপারিশ করল দিল্লি সরকার। উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিশোদিয়া এপ্রসঙ্গে বলেন, আমরা মুকেশের আবেদন খারিজ করার সুপারিশ করেছি এবং তত্ক্ষণাত্ তা লেফটেন্যান্ট গর্ভনরকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের দিক থেকে এক মুহূর্তও দেরি করা হয়নি। যদিও, নির্ভয়াকাণ্ডে দোষীদের ফাঁসি দিতে দেরি হওয়ায় রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মা। তাঁর অভিযোগ, অহেতুক দেরি করছে দিল্লি সরকার। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবটাই দেরি করার কৌশল। আমি এর নিন্দা করছি। সরকারের উচিত, নিম্ন আদালতের রায় মেনেই ২২ জানুয়ারি দোষীদের ফাঁসি দেওয়া।