বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
লোকসভায় নাগরিকত্ব বিল পেশের পর থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে উত্তর-পূর্বে। সীমানা ছড়িয়ে সেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে এক রাজ্য থেকে আর এক রাজ্যে। সবথেকে খারাপ অবস্থা অসমের। বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ‘সেভেন সিস্টার্স’-এর প্রবেশদ্বার গুয়াহাটি। ইতিমধ্যেই রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। জারি রয়েছে কার্ফু। রাস্তায় ফ্ল্যাগ মার্চ করছে সেনাবাহিনী। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। রেল ও বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী থেকে পর্যটকদের একটা বড় অংশ।
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বাতিল হয়ে গেল মোদি-আবের বৈঠক। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার জানিয়েছেন, ভারত ও জাপান দুই দেশই বৈঠক ‘পিছিয়ে দেওয়া’র সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কবে হবে এই বৈঠক? প্রশ্নের জবাবে রবীশ কুমার বলেছেন, ‘জাপানের প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত ভারত সফর দুই দেশই পিছনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দু’দেশের সুবিধা মতো অদূর ভবিষ্যতে বৈঠকের পরবর্তী দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে।’ কূটনৈতিক সূত্রে খবর, অসমে বিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের গুয়াহাটি সফর বাতিল করার কথা নয়াদিল্লিকে জানিয়ে দিয়েছে জাপান সরকার। মনে করা হচ্ছে, নতুন বছরের গোড়ায় হতে পারে মোদি-আবে এই বৈঠক।
গত সপ্তাহেই আবের ভারত সফরের কথা ঘোষণা করেছিল বিদেশ মন্ত্রক। বলা হয়েছিল বৈঠক হবে ১৫-১৭ ডিসেম্বর। কিন্তু কোথায় সেই বৈঠক হতে চলেছে, সে ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি। যদিও, গুয়াহাটিতে পুরোদমে চলছিল উচ্চপর্যায়ের সেই বৈঠকের প্রস্তুতি। সূত্রের খবর, সেই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বুধবার গুয়াহাটি গিয়েছিলেন জাপানের এক প্রতিনিধিদল। বৈঠকের প্রস্তুতি এবং বিক্ষোভ পরিস্থিতি নিয়ে তারা টোকিওকে রিপোর্ট পাঠালে জাপানের বিদেশ মন্ত্রক প্রধানমন্ত্রী আবের সফর বাতিল করে। প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিক্ষোভের জেরে বৃহস্পতিবার নজিরবিহীনভাবে ভারত সফর বাতিল করেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।