বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
নাগরিকত্ব বিল পাসের পর থেকে উত্তাল উত্তর-পূর্ব ভারত। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে এক রাজ্য থেকে আর এক রাজ্যে। সবথেকে খারাপ অবস্থা অসমের। ইতিমধ্যে সেখানে পুলিসের গুলিতে তিনজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিস, নিরাপত্তারক্ষী ও সেনা মোতায়েন করা হলেও রাশ টানা যাচ্ছে না সেই বিক্ষোভে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আশ্বাস-বার্তার পরেও থামেনি বিক্ষোভ। এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে দিল্লিতে থাকা নিজের অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন অসমের গায়ক পাপন। তিনি বলেন, ‘প্রিয় দিল্লি, আগামীকালের কনসার্টে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমি দুঃখিত। কার্ফুতে আমার রাজ্য অসম জ্বলছে ও কাঁদছে। যেভাবে আমি আপনাদের বিনোদন দিয়ে থাকি, এই পরিস্থিতিতে আমি তা পারছি না।’ দর্শক-শ্রোতাদের উদ্দেশে ক্ষমা চেয়ে এই বলিউড সিঙ্গার আরও বলেছেন, ‘পরিকল্পনা মতো আপনার টিকিট কেটে রেখেছিলেন। তাই হঠাৎ এই অনুষ্ঠান বাতিল ঠিক নয়। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি অদূর ভবিষ্যতে আপনাদের সঙ্গে দেখা করব।’ শুধু পাপন নন, নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে রাজ্যের পাশে দাঁড়িয়েছেন সেখানকার আর এক গায়ক জুবিন গর্গ। আসু নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে শিল্পী সম্প্রদায়কে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অসমের পর প্রতিবেশী রাজ্য মেঘালয়েও আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য বাতিল করা হয়েছে ইন্টারনেট ও মেসেজ পরিষেবা। এদিকে, রাজ্যবাসীর শান্ত থাকার আর্জি জানিয়েছেন অসমের রাজ্যপাল জগদীশ মুখী। বিবৃতি জারি করে তিনি বলেছেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে কোনও বিষয়ে ছাত্র সম্প্রদায়ের কোনওরকম অভিযোগ থাকলে, তারা বিক্ষোভ দেখাতেই পারেন। কিন্তু, তা গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে হওয়া উচিত। নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া উচিত নয়।’ পাশাপাশি, নাগরিকত্ব বিল অসমের উপর কোনওরকম বিরূপ প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়া ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। অন্যদিকে, নাগরিকত্ব বিলকে ‘বিভাজনের অঙ্গ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লকুমার মহন্ত। তাঁর কথায়, ‘এই কালা বিলের বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নিত্যনতুন প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ঘনাচ্ছে। অসমবাসী এই বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক বিলকে পরাস্ত করতে বদ্ধপরিকর। যতক্ষণ না পর্যন্ত এই বিল ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে, ততক্ষণ আমাদের বিক্ষোভ চলবে।’