কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
গতকাল মহারাষ্ট্রের ভোটের সঙ্গে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা খারিজের সম্পর্ক কী, সেই প্রশ্ন তুলে বিজেপিকে খোঁচা দিয়েছিলেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার। পাল্টা জবাবে মোদি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য মহারাষ্ট্রের যেসব বীর পুত্র আত্মবলিদান দিয়েছেন, তাঁদের জন্য আমরা গর্বিত। আর আজ এই লোকগুলো (পাওয়ার সহ বিরোধীদের উদ্দেশে), যাঁরা রাজনৈতিক ও পারিবারিক স্বার্থে মগ্ন, তাঁরা বলছে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ভেবে মহারাষ্ট্রের কী হবে? ডুবে মরুন। তাঁর জবাব দিতে গিয়ে এদিন ৩৭০ ধারা নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গ তোলেন পাওয়ার। বৃহস্পতিবার উত্তর মহারাষ্ট্রের নিপাদে এক জনসভায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকেও একহাত নেন এনসিপি সুপ্রিমো। তাঁর অভিযোগ, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি এখন ধুঁকছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং রঘুরাম রাজন আরবিআইয়ের গভর্নর থাকাকালীন এমন খারাপ অবস্থা হয়নি। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলেছে কেন্দ্রের এনডিএ সরকার। বিরোধীদের সঙ্গে পৈশাচিক ব্যবহার করা হচ্ছে। এদিন পাওয়ার প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ির প্রশংসা করে বলেন, বাজপেয়ি ছিলেন সংস্কৃতিবান ও প্রকৃতপক্ষেই ভদ্রলোক। তাঁর কোনও সিদ্ধান্তে বিদ্বেষ থাকত না। অথচ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হলেন অত্যন্ত সক্রিয় ও নির্দয় ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, মহারাষ্ট্রের কৃষকরা দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন। তাঁরা হতাশ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। অথচ তাঁদের সমস্যা দূর করতে এগিয়ে আসেননি মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। পাশাপাশি একের পর এক শিল্প কারখানার ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। কিন্তু সরকারকে পরিস্থিতি সমাধান করতে দেখা যায়নি। মুখ্যমন্ত্রীকেও সামনে থেকে দাঁড়িয়ে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।