সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
রাজনীতির কারবারিরা বরাবর বলে থাকেন, ভোট কিন্তু নিছক একটা আবেগ নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অনেক অঙ্ক! তাই নির্বাচন কেন্দ্র এবং সেখানকার ভৌগোলিক অবস্থা দেখে যেমন প্রার্থী দেওয়া হয়, তেমনই দলের প্রার্থীকে জেতানোর জন্যও জরুরি ভোটের অনেক হিসেব-নিকেশ। সেই অঙ্কে সিপিএম শেষ সবক’টি নির্বাচনী পরীক্ষায় পাশ মার্ক পর্যন্ত তুলতে পারেনি।
তথ্য বলছে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছিল ২২টি আসন এবং ৪৩ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে ১৮টি আসনের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের ঝুলিতে গিয়েছিল ৪০ শতাংশ ভোট। কিন্তু সেখানে সিপিএমের প্রাপ্ত ভোটের হার খুবই কম—মাত্র ৬.৩৩ শতাংশ। গতবার একটিও লোকসভা আসন পায়নি বামেরা। জোটসঙ্গী কংগ্রেসেরও খারাপ ফল হয়। কংগ্রেস মাত্র দুটি আসনের সঙ্গে পেয়েছিল ৫.৬৭ শতাংশ ভোট।
ফলে উনিশের ভোটে বিজেপির শক্তিবৃদ্ধিতে স্পষ্ট হয়েছিল যে, সিপিএমের ভোট গিয়েছে বিজেপির বাক্সে। ওই পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে একুশের ভোটে সিপিএম ঘুরে দাঁড়াবে বলে ভেবেছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটি অংশ। কিন্তু সেবারও বামেরা ডাহা ‘ফেল’ করে! সিপিএম পায় মাত্র ৪.৭৩ শতাংশ ভোট এবং বিধানসভায় বামফ্রন্টের আসন সংখ্যার পাশে লেখা হয় ‘বিগ জিরো’! সেখানে বিজেপি এক ধাক্কায় ৭৭টি আসন এবং ৩৮ শতাংশ ভোট পায়। ফলে বামেদের এই ক্রমাগত শক্তিক্ষয় এবারের ভোটেও আলোচনার চর্চায় উঠে আসছে।
রাজনৈতিক মহল বলছে, বিজেপি এখন বাংলায় প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল। সেখানে বাংলার একদা শাসক সিপিএমের অবস্থা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে। তাই এই নির্বাচনে সিপিএমের সামনেও ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ। তাদের ভোট বিজেপিতে যাওয়া ঠেকাতে হবে মার্কসবাদী কমিউনিস্টদের। ইদানীংকালে তৃণমূল বারবার অভিযোগ করছে, সিপিএম ও কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির রয়েছে গোপন আঁতাত। এই অভিযোগ ‘মিথ্যা’ প্রমাণ করার ‘আগ্নিপরীক্ষা’য় কতটা সফল হবে সিপিএম, তারই মূল্যায়ন করতে চান রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা।