সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
কেএলও (কেএন) জঙ্গি সংগঠন থেকে মন্ত্রীকে হুমকির চিঠির খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রশাসনিক মহলের পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। বেলা গড়াতেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ স্থানীয় দিনহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরপরেই তিনি দ্বিতীয় দফার ভোট প্রচারে শিলিগুড়ি রওনা হন। পরে মন্ত্রী শিলিগুড়িতে পৌঁছে উত্তরকন্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন,‘বিষয়টি দলকে জানানো হয়েছে। পুলিসেও অভিযোগ দায়ের করেছি। দলের তরফে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’ এই প্রসঙ্গে কোচবিহারের এসপি দ্যুতিমান ভট্টাচার্যের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘তোলাবাজি, হুমকি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মতো একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’
কেএলও প্রধান জীবন সিং কেন্দ্রের সঙ্গে সমঝোতা আলোচনা শুরু করা মাত্রই স্বাধীন কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে অসমের কোকরাঝাড়ের ডি এল কোচ ওরফে মিঠুন বর্মণের নেতৃত্বে গঠিত হয় নতুন কেএলও (কেএন) গোষ্ঠী। সংগঠনে রয়েছে ১৪৫-১৫০ জন সক্রিয় জঙ্গি। ডি এল কোচ এই মুহূর্তে বাংলাদেশের মৌলভিবাজার এলাকার কোনও পার্বত্য অংশে লুকিয়ে রয়েছে। মূলত অসমের ধুবড়ি, কোকরাঝাড়, গোয়ালপাড়া এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে হুমকি দিয়ে অর্থ আদায় করাই এদের কাজ। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে তোলা চেয়ে হুমকি দেওয়া হলেও, উদয়ন গুহ’র মতো রাজনৈতিক ব্যক্তির কাছে চিঠি পাঠানো এই প্রথম। কেএলও (কে এন) হুমকি চিঠির প্রথম ছত্রে মন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, গত ১৯৯৩ সাল থেকে কেএলও স্বাধীন কামতাপুর রাজ্যের জন্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। এই যুদ্ধ তহবিলের জন্যই ৫ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে কুমারগ্রাম থেকে রাজ্য পুলিসের এসটিএফের হাতে কেএলও (কেএন) জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য তাপস রায় গ্রেপ্তার হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে নাশকতার ছক ও তোলা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। ডিএল কোচ ছাড়াও বর্তমানে কেএলও (কে এন) গোষ্ঠির অন্য দুই শীর্ষ জঙ্গি হল, ক্যাপ্টেন ওয়াংচু কোচ, কারাং কোচ। এই দু’জনের স্বাক্ষর রয়েছে উদয়নবাবুর কাছে পাঠানো চিঠিতে।